
৩০ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:২৮
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর জাতীয় পার্টি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল হয়েছে। শনিবার (৩০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টায় গণঅধিকার পরিষদ বরিশাল জেলা ও মহানগরের আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা। মিছিলটির শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এসে শেষ হয়।
এরপর সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করে গণধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। এসময় নেতাকর্মীরা নূরের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানান। পাশাপাশি হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। অন্যথায় আগামীতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ার দেন তারা। এদিকে, গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর জাতীয় পার্টি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল হয়েছে। শনিবার (৩০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টায় গণঅধিকার পরিষদ বরিশাল জেলা ও মহানগরের আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা। মিছিলটির শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এসে শেষ হয়।
এরপর সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করে গণধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। এসময় নেতাকর্মীরা নূরের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানান। পাশাপাশি হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। অন্যথায় আগামীতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ার দেন তারা। এদিকে, গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:২৫
সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণাসহ চাঁদাবাজির অভিযোগে ভিন্ন পেশার দুই যুবককে আটক করেছে বরিশাল শহর পুলিশ। মঙ্গলবার নগরের হাসপাতাল রোডের আসবাবপত্র বিক্রেতা লিয়াকত আলী খন্দকারকে জিম্মি করতে গিয়ে মামুন রেদোয়ান এবং জাহাঙ্গীর মোল্লা নামের এই যুবক স্থানীয়দের হাতে আটক হন। পরে সংশ্লিষ্ট বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, শহরের ভাটারখাল এলাকার হাকিম আলীর ছেলে মামুন রেদোয়ান এবং পলাশপুরের সালাম মোল্লার ছেলে জাহাঙ্গীর মোল্লা ছেলে। তারা দুজন ভিন্ন পেশার মানুষ হলেও উভয়ে নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিলেন। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে বিস্তর অভিযোগ আসতে ছিল।
এই দুজন ব্যক্তি মামুন এবং জাহাঙ্গীর গত ৬ ডিসেম্বর হাসপাতাল রোডের খন্দকার ফার্নিচারের স্বত্বাধিকারী মি. লিয়াকত আলী খন্দকারের কাছে ফোন করে নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দেন। এবং তাদের কাছে লিয়াকতের আপত্তিকর ভিডিও আছে জানিয়ে লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
ভুক্তভোগী লিয়াকত আলী জানান, ফোন করে সাংবাদিক পরিচয়ে আপত্তিকর ভিডিও আছে দাবি করায় তিনি কিছুটা বিব্রত হন এবং হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এবং এর সত্যতা প্রমাণ করতে ভিডিও নিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণ জানান। একদিন বাদে ৭ ডিসেম্বর মামুন এবং জাহাঙ্গীর দুজনে হাসপাতাল রোডে লিয়াকতের দোকানে গিয়ে ভিডিও দেখাতে ব্যর্থ হলেও ভয়ভীতি দেখিয়ে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।
বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে, এমন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের পরে ফের একদিন বাদে ৮ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী লিয়াকতকে ফোন করে আরও ৮০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এবং এই টাকা না পেলে সেই আপত্তিকর ভিডিও সমাজপাতায় ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে।
এই প্রতারণার বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী স্থানীয় জনসাধারণের সাথে আলোচনা করেন এবং প্রতিকার হিসেবে দুই সাংবাদিকের পেশাদারিত্ব নিশ্চিত হওয়ার সংকল্প নেন। এবং সকলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেই সাংবাদিকের মুঠোফোনে কল করে মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) হাসপাতাল রোডের ফার্নিচারের দোকানে আসতে বলেন।
পূর্বালোচনা অনুযায়ী মঙ্গলবার ঠিক ১১টার সময় মামুন এবং জাহাঙ্গীর হাজির হলে তাদের দুজনকে স্থানীয়রা আটক করে লিয়াকতের সেই আপত্তিকর ভিডিও দেখতে চাইলে তা প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়। এতে ক্ষুব্ধ জনতা দুজনকে একচোট দেয় এবং পরক্ষণে কোতয়ালি মডেল থানায় খবর দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি আল মামুন উল ইসলাম বরিশালটাইমসকে বলেন, সাংবাদিক পরিচয়ে আসবাবপত্র বিক্রেতাকে জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সময় দুজনকে আটক করে জনসাধারণ। পরবর্তীতে তাদের দুজনকে পুলিশে দিয়েছে। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, মামলা হবে।’
সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণাসহ চাঁদাবাজির অভিযোগে ভিন্ন পেশার দুই যুবককে আটক করেছে বরিশাল শহর পুলিশ। মঙ্গলবার নগরের হাসপাতাল রোডের আসবাবপত্র বিক্রেতা লিয়াকত আলী খন্দকারকে জিম্মি করতে গিয়ে মামুন রেদোয়ান এবং জাহাঙ্গীর মোল্লা নামের এই যুবক স্থানীয়দের হাতে আটক হন। পরে সংশ্লিষ্ট বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, শহরের ভাটারখাল এলাকার হাকিম আলীর ছেলে মামুন রেদোয়ান এবং পলাশপুরের সালাম মোল্লার ছেলে জাহাঙ্গীর মোল্লা ছেলে। তারা দুজন ভিন্ন পেশার মানুষ হলেও উভয়ে নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিলেন। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে বিস্তর অভিযোগ আসতে ছিল।
এই দুজন ব্যক্তি মামুন এবং জাহাঙ্গীর গত ৬ ডিসেম্বর হাসপাতাল রোডের খন্দকার ফার্নিচারের স্বত্বাধিকারী মি. লিয়াকত আলী খন্দকারের কাছে ফোন করে নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দেন। এবং তাদের কাছে লিয়াকতের আপত্তিকর ভিডিও আছে জানিয়ে লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
ভুক্তভোগী লিয়াকত আলী জানান, ফোন করে সাংবাদিক পরিচয়ে আপত্তিকর ভিডিও আছে দাবি করায় তিনি কিছুটা বিব্রত হন এবং হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এবং এর সত্যতা প্রমাণ করতে ভিডিও নিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণ জানান। একদিন বাদে ৭ ডিসেম্বর মামুন এবং জাহাঙ্গীর দুজনে হাসপাতাল রোডে লিয়াকতের দোকানে গিয়ে ভিডিও দেখাতে ব্যর্থ হলেও ভয়ভীতি দেখিয়ে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।
বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে, এমন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের পরে ফের একদিন বাদে ৮ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী লিয়াকতকে ফোন করে আরও ৮০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এবং এই টাকা না পেলে সেই আপত্তিকর ভিডিও সমাজপাতায় ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে।
এই প্রতারণার বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী স্থানীয় জনসাধারণের সাথে আলোচনা করেন এবং প্রতিকার হিসেবে দুই সাংবাদিকের পেশাদারিত্ব নিশ্চিত হওয়ার সংকল্প নেন। এবং সকলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেই সাংবাদিকের মুঠোফোনে কল করে মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) হাসপাতাল রোডের ফার্নিচারের দোকানে আসতে বলেন।
পূর্বালোচনা অনুযায়ী মঙ্গলবার ঠিক ১১টার সময় মামুন এবং জাহাঙ্গীর হাজির হলে তাদের দুজনকে স্থানীয়রা আটক করে লিয়াকতের সেই আপত্তিকর ভিডিও দেখতে চাইলে তা প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়। এতে ক্ষুব্ধ জনতা দুজনকে একচোট দেয় এবং পরক্ষণে কোতয়ালি মডেল থানায় খবর দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি আল মামুন উল ইসলাম বরিশালটাইমসকে বলেন, সাংবাদিক পরিচয়ে আসবাবপত্র বিক্রেতাকে জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সময় দুজনকে আটক করে জনসাধারণ। পরবর্তীতে তাদের দুজনকে পুলিশে দিয়েছে। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, মামলা হবে।’

০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:৪৫
“নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হই, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করি”—এ প্রতিপাদ্যে বরিশালে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস।
জেলা প্রশাসন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, জাতীয় মহিলা সংস্থা এবং ব্র্যাক, বরিশালের যৌথ উদ্যোগে আজ বেলা ১১ টায় র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বর্ণাঢ্য র্যালি শেষে সার্কিট হাউস সভাকক্ষে “অদম্য নারী পুরস্কার” শীর্ষক আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আহসান হাবিব। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম এবং বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম।
বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. খায়রুল আলম সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা বলেন, নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সময়ের দাবি।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা অদম্য নারীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।
“নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হই, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করি”—এ প্রতিপাদ্যে বরিশালে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস।
জেলা প্রশাসন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, জাতীয় মহিলা সংস্থা এবং ব্র্যাক, বরিশালের যৌথ উদ্যোগে আজ বেলা ১১ টায় র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বর্ণাঢ্য র্যালি শেষে সার্কিট হাউস সভাকক্ষে “অদম্য নারী পুরস্কার” শীর্ষক আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আহসান হাবিব। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম এবং বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম।
বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. খায়রুল আলম সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা বলেন, নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সময়ের দাবি।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা অদম্য নারীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।

০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:১৮
বরিশাল নগরীর একটি ফ্ল্যাটে ঢুকে এশিয়ান টিভির বরিশাল ব্যুরো ফিরোজ মোস্তফাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার রাতে গোড়াচাঁদ দাশ রোডের ‘আল জামিয়া মাদ্রাসা’ ভবনের দ্বিতীয় তলায় তার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে বলে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আল মামুন উল ইসলাম জানিয়েছেন।
গুরুতর আহত ফিরোজ মোস্তফাকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগের মুখে থাকা আমানতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল নাভিদ আনজুমকে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আহত সাংবাদিক ফিরোজ মোস্তাফা বলছেন, খেলোয়াড় পরিচয়ে নাভিদ আনজুম দীর্ঘদিন আগে তার সঙ্গে সখ্যতা গড়েন। এর সুবাদে তিনি প্রায়ই তার অফিসে আসতেন। পরবর্তীতে নাভিদ মাদক সেবন ও অনলাইন ক্যাসিনো চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে যায়।
“এরপর হঠাৎ করে নাভিদ তার ই-মেইল আইডি হ্যাক হওয়ার জন্য আমাকে দায়ি করে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা ঝামেলা করে আসছিল নাভিদ।”
তিনি বলেন, “সবশেষ আমার পারিবারিক কিছু ব্যক্তিগত ছবি দিয়ে তিনি ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেন। তবে সুবিধা করতে না পেরে গত ২৫ অক্টোবর রাতে নাভিদ লোকজন নিয়ে ফ্ল্যাটে এসে অমানবিক নির্যাতন করে।
“ওই দিন থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত নাভিদ ভয় দেখিয়ে আমাকে আটকে রাখে এবং নির্যাতনের পাশাপাশি ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে গত ২ নভেম্বর ৯৯৯-এ কল দিয়ে সহযোগিতা চাই। পরে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।”
ফিরোজ মোস্তফার অভিযোগ, “সেদিনই রাতে থানায় মামলা করতে যাই। কিন্তু পুলিশ সদস্য হওয়ার কারণে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান নাভিদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি। এ কারণে ৩ নভেম্বর বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
“পরে ১৩ নভেম্বর অভিযোগ তদন্ত করার জন্য পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে ডাকেন উপ-কমিশনার (ডিবি) আবুল কালাম আজাদ। কমিশনার বরাবর অভিযোগ দেওয়ায় ওসি মিজানুর রহমান, এএসআই সাঈদ ও কনস্টেবল নাভিদ আনজুম আরও ‘ক্ষুব্ধ’ হয়। পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে বসেই নাভিদ হুমকি দেয়। যার ভিডিও আমার সহকর্মীদের কাছে রয়েছে।”
ফিরোজ বলছেন, “এর ধারাবাহিকতায় সোমবার রাতে কনস্টেবল নাভিদ আমার বাসায় ঢুকে হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এক পর্যায়ে আমাকে রুমের মধ্যে রেখে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যান।
“নিজেকে বাঁচাতে ৯৯৯-এ ফোন করে সহযোগিতা চাই। পরে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।”
মামলা না নেওয়ার প্রসঙ্গে কোতোয়ালি মডেল থানার সাবেক ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “বদলি হয়েছি। এখন এ বিষয়ে কোনো কথা বলবো না।”
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আল মামুন উল ইসলাম বলেন, “৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই সাংবাদিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আমি এখানে নতুন এসেছি। তাদের মধ্যে পূর্বে কোনো বিরোধ ছিলো কি-না আমার জানা নেই।
“এই ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
তিনি বলেন, আমানতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল নাভিদ আনজুমকে আপাতত ফাঁড়ির ইনচার্জের জিম্মায় দেওয়া হচ্ছে। আর আহত সাংবাদিক ফিরোজ মোস্তফা সুস্থ হয়ে হামলার ঘটনায় মামলা করার কথা জানিয়েছেন।
বরিশাল নগরীর একটি ফ্ল্যাটে ঢুকে এশিয়ান টিভির বরিশাল ব্যুরো ফিরোজ মোস্তফাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার রাতে গোড়াচাঁদ দাশ রোডের ‘আল জামিয়া মাদ্রাসা’ ভবনের দ্বিতীয় তলায় তার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে বলে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আল মামুন উল ইসলাম জানিয়েছেন।
গুরুতর আহত ফিরোজ মোস্তফাকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগের মুখে থাকা আমানতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল নাভিদ আনজুমকে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আহত সাংবাদিক ফিরোজ মোস্তাফা বলছেন, খেলোয়াড় পরিচয়ে নাভিদ আনজুম দীর্ঘদিন আগে তার সঙ্গে সখ্যতা গড়েন। এর সুবাদে তিনি প্রায়ই তার অফিসে আসতেন। পরবর্তীতে নাভিদ মাদক সেবন ও অনলাইন ক্যাসিনো চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে যায়।
“এরপর হঠাৎ করে নাভিদ তার ই-মেইল আইডি হ্যাক হওয়ার জন্য আমাকে দায়ি করে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা ঝামেলা করে আসছিল নাভিদ।”
তিনি বলেন, “সবশেষ আমার পারিবারিক কিছু ব্যক্তিগত ছবি দিয়ে তিনি ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেন। তবে সুবিধা করতে না পেরে গত ২৫ অক্টোবর রাতে নাভিদ লোকজন নিয়ে ফ্ল্যাটে এসে অমানবিক নির্যাতন করে।
“ওই দিন থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত নাভিদ ভয় দেখিয়ে আমাকে আটকে রাখে এবং নির্যাতনের পাশাপাশি ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে গত ২ নভেম্বর ৯৯৯-এ কল দিয়ে সহযোগিতা চাই। পরে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।”
ফিরোজ মোস্তফার অভিযোগ, “সেদিনই রাতে থানায় মামলা করতে যাই। কিন্তু পুলিশ সদস্য হওয়ার কারণে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান নাভিদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি। এ কারণে ৩ নভেম্বর বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
“পরে ১৩ নভেম্বর অভিযোগ তদন্ত করার জন্য পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে ডাকেন উপ-কমিশনার (ডিবি) আবুল কালাম আজাদ। কমিশনার বরাবর অভিযোগ দেওয়ায় ওসি মিজানুর রহমান, এএসআই সাঈদ ও কনস্টেবল নাভিদ আনজুম আরও ‘ক্ষুব্ধ’ হয়। পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে বসেই নাভিদ হুমকি দেয়। যার ভিডিও আমার সহকর্মীদের কাছে রয়েছে।”
ফিরোজ বলছেন, “এর ধারাবাহিকতায় সোমবার রাতে কনস্টেবল নাভিদ আমার বাসায় ঢুকে হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এক পর্যায়ে আমাকে রুমের মধ্যে রেখে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যান।
“নিজেকে বাঁচাতে ৯৯৯-এ ফোন করে সহযোগিতা চাই। পরে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।”
মামলা না নেওয়ার প্রসঙ্গে কোতোয়ালি মডেল থানার সাবেক ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “বদলি হয়েছি। এখন এ বিষয়ে কোনো কথা বলবো না।”
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আল মামুন উল ইসলাম বলেন, “৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই সাংবাদিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আমি এখানে নতুন এসেছি। তাদের মধ্যে পূর্বে কোনো বিরোধ ছিলো কি-না আমার জানা নেই।
“এই ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
তিনি বলেন, আমানতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল নাভিদ আনজুমকে আপাতত ফাঁড়ির ইনচার্জের জিম্মায় দেওয়া হচ্ছে। আর আহত সাংবাদিক ফিরোজ মোস্তফা সুস্থ হয়ে হামলার ঘটনায় মামলা করার কথা জানিয়েছেন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:২৭
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:২৫
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:৪৫
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:৩৫