
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫০
প্রথম দফায় সারাদেশে ২৩৭ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। কিন্তু এরমধ্যে নেই বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসন। দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর দ্বন্দ্ব নাকি জোটের শরিকদের আসন ছাড়ের জন্য এখানে প্রার্থী ঘোষণা হয়নি, তা স্পষ্ট করেনি বিএনপি। তবে এই আশা-নিরাশার মাঝেই বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বেগম সেলিমের রহমানকে এই আসনে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে দীর্ঘ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে ওই বিক্ষোভ ও ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের একাংশের নেতৃত্বে রহমতপুর এলাকায় বরিশাল বিমানবন্দর মোড় থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বেগম সেলিমা রহমানের অনুসারী কয়েক হাজার বিএনপি নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সাধারণ মানুষসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারীদের অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।
মানববন্ধন সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য ইসরত হোসেন কচি তালুকদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বরিশাল জেলা কৃষকদলের আহবায়ক মো. মোহসীন আলম, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মো. আওলাদ হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, কামাল সরদার, সেলিম সরদার, দেহেরগতি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিলন খান, মাধবপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহবুব তালুকদার, উপজেলা বিএনপির সদস্য পারভেজ মৃধা, মনিরুজ্জামান মিল্টন, মিজানুর রহমান, উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আরিফুর রহমান রতন তালুকদার, সহ-সভাপতি মাহবুব আলম, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান রবীন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
মানববন্ধন সমাবেশে বক্তারা বেগম সেলিমা রহমানকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, 'বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত বেগম সেলিমা রহমান দীর্ঘদিন ধরে বরিশাল-৩ আসনের মানুষের পাশে থেকেছেন। তাঁর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, ত্যাগ ও যোগ্যতাকে মূল্যায়ন করে আগামী নির্বাচনে তাকে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ঘোষণা করতে হবে। ত্যাগী ও জনপ্রিয় এই নেত্রীকে উপেক্ষা করে বিগত দিনে দলীয় সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া বিতর্কিত কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হলে তৃণমূলে বিদ্রোহ দেখা দেবে। এতে সংগঠন দুর্বল হবে এবং এই নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।'
উল্লেখ্য, বরিশালের ৬টি আসনের মধ্যে ৫টিতে প্রার্থী ঘোষণা করলেও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ–মুলাদী) আসনে এখনো দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি বিএনপি। ফলে নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ, হতাশা আর অনিশ্চয়তা। গত ৩ নভেম্বর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭টি আসনে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। কিন্তু তাতে বরিশাল-৩ আসনটি শূন্য রাখা হয়। এই আসনটি বিএনপির জোটের শরিক এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে এমন খবর চাউর হয় নির্বাচনী এলাকায়। তবে দলটির হাইকমান্ডের একটি সূত্রের দাবি, বেগম সেলিমা রহমানের সাথে এই আসনে মনোনয়নের পাওয়ার যুদ্ধে লড়ছেন আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। শীর্ষ এই দুইজন প্রভাবশালী নেতার দ্বন্দ্বের কারণেই এই আসনে এখনো প্রার্থী দেয়নি বিএনপি।
এই দুই শীর্ষ নেতা ছাড়াও বরিশাল-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চাইছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ এবং বরিশাল জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক মুলাদী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার খান। তবে সেলিমা রহমানকে মনোনয়ন দিলে এই দুই নেতা তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে বেগম সেলিমা রহমান, ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ এবং আব্দুস সাত্তার খান একই মঞ্চে একাধিকবার সভা-সমাবেশ, উঠান বৈঠক, গণসংযোগ এবং ৩১ দফার সমর্থনে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে সম্মিলিতভাবে অংশ নিয়েছেন। অপরদিকে আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মনোনয়ন দৌড়ে একাই লড়ছেন। তিনিও পৃথকভাবে তার অনুসারী বিএনপি নেতাকর্মী নিয়ে বাবুগঞ্জ এবং মুলাদী উপজেলায় বিভিন্ন নির্বাচনী সভা-সমাবেশ আর প্রচার-প্রচারণায় সক্রিয় রয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত কে পাচ্ছেন বিএনপির টিকেট, তা জানতে হয়তো আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। #
প্রথম দফায় সারাদেশে ২৩৭ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। কিন্তু এরমধ্যে নেই বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসন। দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর দ্বন্দ্ব নাকি জোটের শরিকদের আসন ছাড়ের জন্য এখানে প্রার্থী ঘোষণা হয়নি, তা স্পষ্ট করেনি বিএনপি। তবে এই আশা-নিরাশার মাঝেই বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বেগম সেলিমের রহমানকে এই আসনে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে দীর্ঘ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে ওই বিক্ষোভ ও ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের একাংশের নেতৃত্বে রহমতপুর এলাকায় বরিশাল বিমানবন্দর মোড় থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বেগম সেলিমা রহমানের অনুসারী কয়েক হাজার বিএনপি নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সাধারণ মানুষসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারীদের অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।
মানববন্ধন সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য ইসরত হোসেন কচি তালুকদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বরিশাল জেলা কৃষকদলের আহবায়ক মো. মোহসীন আলম, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মো. আওলাদ হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, কামাল সরদার, সেলিম সরদার, দেহেরগতি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিলন খান, মাধবপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহবুব তালুকদার, উপজেলা বিএনপির সদস্য পারভেজ মৃধা, মনিরুজ্জামান মিল্টন, মিজানুর রহমান, উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আরিফুর রহমান রতন তালুকদার, সহ-সভাপতি মাহবুব আলম, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান রবীন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
মানববন্ধন সমাবেশে বক্তারা বেগম সেলিমা রহমানকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, 'বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত বেগম সেলিমা রহমান দীর্ঘদিন ধরে বরিশাল-৩ আসনের মানুষের পাশে থেকেছেন। তাঁর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, ত্যাগ ও যোগ্যতাকে মূল্যায়ন করে আগামী নির্বাচনে তাকে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ঘোষণা করতে হবে। ত্যাগী ও জনপ্রিয় এই নেত্রীকে উপেক্ষা করে বিগত দিনে দলীয় সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া বিতর্কিত কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হলে তৃণমূলে বিদ্রোহ দেখা দেবে। এতে সংগঠন দুর্বল হবে এবং এই নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।'
উল্লেখ্য, বরিশালের ৬টি আসনের মধ্যে ৫টিতে প্রার্থী ঘোষণা করলেও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ–মুলাদী) আসনে এখনো দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি বিএনপি। ফলে নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ, হতাশা আর অনিশ্চয়তা। গত ৩ নভেম্বর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭টি আসনে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। কিন্তু তাতে বরিশাল-৩ আসনটি শূন্য রাখা হয়। এই আসনটি বিএনপির জোটের শরিক এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে এমন খবর চাউর হয় নির্বাচনী এলাকায়। তবে দলটির হাইকমান্ডের একটি সূত্রের দাবি, বেগম সেলিমা রহমানের সাথে এই আসনে মনোনয়নের পাওয়ার যুদ্ধে লড়ছেন আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। শীর্ষ এই দুইজন প্রভাবশালী নেতার দ্বন্দ্বের কারণেই এই আসনে এখনো প্রার্থী দেয়নি বিএনপি।
এই দুই শীর্ষ নেতা ছাড়াও বরিশাল-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চাইছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ এবং বরিশাল জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক মুলাদী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার খান। তবে সেলিমা রহমানকে মনোনয়ন দিলে এই দুই নেতা তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে বেগম সেলিমা রহমান, ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ এবং আব্দুস সাত্তার খান একই মঞ্চে একাধিকবার সভা-সমাবেশ, উঠান বৈঠক, গণসংযোগ এবং ৩১ দফার সমর্থনে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে সম্মিলিতভাবে অংশ নিয়েছেন। অপরদিকে আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মনোনয়ন দৌড়ে একাই লড়ছেন। তিনিও পৃথকভাবে তার অনুসারী বিএনপি নেতাকর্মী নিয়ে বাবুগঞ্জ এবং মুলাদী উপজেলায় বিভিন্ন নির্বাচনী সভা-সমাবেশ আর প্রচার-প্রচারণায় সক্রিয় রয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত কে পাচ্ছেন বিএনপির টিকেট, তা জানতে হয়তো আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। #

০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৬
আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ‘বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে ছোট একটি অংশ সেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের মতোই রাজনীতি করে যাচ্ছে। দলের পক্ষ থেকে এদেরকে চিহ্নিত করে প্রতিহত না করলে আগামী নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখির পাশাপাশি দিনে দিনে ভোট কমে যাবে বিএনপির। আর এভাবে চলতে থাকলে ফ্যাসিস্টদের মতো তাদেরও পরিণতি হবে।’
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ‘বাবুগঞ্জে ব্রিজ উদ্বোধনকালে বিএনপির কিছু ব্যক্তি আমাকেসহ আমার এবি পার্টির নেতাকর্মীদের পুলিশ প্রশাসনের সামনে লাঞ্ছিত করেন। বিষয়টি ছিল ফৌজদারি অপরাধ। যা পুলিশের সামনে ঘটায় তারা আইনি পদক্ষেপ নিতে পারতো। কিন্তু পুলিশ নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থেকে শুধু ২/৩ বার বাঁশি বাজিয়েছে। নির্বাচনের আগেই পুলিশের এমন ভূমিকা। পরে তাদের ভূমিকা কেমন হবে? যখন যে দল আসে পুলিশ তখন সেই দলের দালালি করে। এমনটা চলতে থাকলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার দুই দিন আগে মুলাদী উপজেলায় একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন এলজিডির সচিব, জেলার ডিসিসহ জেলা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা। সে অনুষ্ঠানও পণ্ড করে দিয়েছে বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে ছোট একটি অংশ।’ বিএনপি আগামীতে সরকার গঠন করবে- তাই এই দলের নেতাকর্মীরা ছোট দলের সঙ্গে ভালো আচরণ করে তাদের সহযোগিতা করবে এবং যারা হামলা নির্যাতন করে তাদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ব্যারিস্টার ফুয়াদ।
ফুয়াদ আরও বলেন, ‘বরিশালের মীরগঞ্জ সেতু নির্মাণের জন্য যে চীনা কোম্পানি টেন্ডার পেয়েছে- তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে যোগাযোগের যে ভাষা ছিল তাতে চীনা কোম্পানি মোটেই সন্তুষ্ট হয়নি। এসব বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন। তবে কোনও দল বা ব্যক্তিকে নিয়ে কথা বলেননি।’
তিনি বলেন, ‘সেতু উদ্বোধন শেষে তাকে ঘুষি মারার চেষ্টা করা হয়েছে। হেনস্তা করা হয়েছে। গত দুই মাস ধরে তার ক্যাম্পেইনে নেতাকর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসন কোনও সহযোগিতা করছে না।’ ঘটনার সঙ্গে যারা যারা জড়িত ছিল তাদেরকে খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ফুয়াদ।
দেশে এখন ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই’ জানিয়ে ফুয়াদ বলেন, ‘এই প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে একটা ভালো নির্বাচন হবে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করার জন্য যার যেখানে যতটুকু দায়িত্ব আছে তার সেই দায়িত্ব পালন করা উচিত। তাছাড়া নির্বাচন কমিশনের একটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভোটের পরিবেশ এনশিওর করা। এখনও অনেকে ভোটার হতে পারিনি।’ তাদের জন্য যাতে সময় বৃদ্ধি করা যায় তারও দাবি জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুরে বরিশালের বাবুগঞ্জের মীরগঞ্জে ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা শেষে সেখানকার ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিয়ে লাঞ্ছিত করেন। এরপর বাবুগঞ্জে ব্যারিস্টার ফুয়াদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। ছাত্রদলের দাবি ছিল, বক্তৃতায় ব্যারিস্টার ফুয়াদ ছাত্রদলকে চাঁদাবাজ বলেছেন।
আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ‘বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে ছোট একটি অংশ সেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের মতোই রাজনীতি করে যাচ্ছে। দলের পক্ষ থেকে এদেরকে চিহ্নিত করে প্রতিহত না করলে আগামী নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখির পাশাপাশি দিনে দিনে ভোট কমে যাবে বিএনপির। আর এভাবে চলতে থাকলে ফ্যাসিস্টদের মতো তাদেরও পরিণতি হবে।’
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ‘বাবুগঞ্জে ব্রিজ উদ্বোধনকালে বিএনপির কিছু ব্যক্তি আমাকেসহ আমার এবি পার্টির নেতাকর্মীদের পুলিশ প্রশাসনের সামনে লাঞ্ছিত করেন। বিষয়টি ছিল ফৌজদারি অপরাধ। যা পুলিশের সামনে ঘটায় তারা আইনি পদক্ষেপ নিতে পারতো। কিন্তু পুলিশ নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থেকে শুধু ২/৩ বার বাঁশি বাজিয়েছে। নির্বাচনের আগেই পুলিশের এমন ভূমিকা। পরে তাদের ভূমিকা কেমন হবে? যখন যে দল আসে পুলিশ তখন সেই দলের দালালি করে। এমনটা চলতে থাকলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার দুই দিন আগে মুলাদী উপজেলায় একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন এলজিডির সচিব, জেলার ডিসিসহ জেলা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা। সে অনুষ্ঠানও পণ্ড করে দিয়েছে বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে ছোট একটি অংশ।’ বিএনপি আগামীতে সরকার গঠন করবে- তাই এই দলের নেতাকর্মীরা ছোট দলের সঙ্গে ভালো আচরণ করে তাদের সহযোগিতা করবে এবং যারা হামলা নির্যাতন করে তাদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ব্যারিস্টার ফুয়াদ।
ফুয়াদ আরও বলেন, ‘বরিশালের মীরগঞ্জ সেতু নির্মাণের জন্য যে চীনা কোম্পানি টেন্ডার পেয়েছে- তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে যোগাযোগের যে ভাষা ছিল তাতে চীনা কোম্পানি মোটেই সন্তুষ্ট হয়নি। এসব বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন। তবে কোনও দল বা ব্যক্তিকে নিয়ে কথা বলেননি।’
তিনি বলেন, ‘সেতু উদ্বোধন শেষে তাকে ঘুষি মারার চেষ্টা করা হয়েছে। হেনস্তা করা হয়েছে। গত দুই মাস ধরে তার ক্যাম্পেইনে নেতাকর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসন কোনও সহযোগিতা করছে না।’ ঘটনার সঙ্গে যারা যারা জড়িত ছিল তাদেরকে খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ফুয়াদ।
দেশে এখন ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই’ জানিয়ে ফুয়াদ বলেন, ‘এই প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে একটা ভালো নির্বাচন হবে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করার জন্য যার যেখানে যতটুকু দায়িত্ব আছে তার সেই দায়িত্ব পালন করা উচিত। তাছাড়া নির্বাচন কমিশনের একটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভোটের পরিবেশ এনশিওর করা। এখনও অনেকে ভোটার হতে পারিনি।’ তাদের জন্য যাতে সময় বৃদ্ধি করা যায় তারও দাবি জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুরে বরিশালের বাবুগঞ্জের মীরগঞ্জে ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা শেষে সেখানকার ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিয়ে লাঞ্ছিত করেন। এরপর বাবুগঞ্জে ব্যারিস্টার ফুয়াদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। ছাত্রদলের দাবি ছিল, বক্তৃতায় ব্যারিস্টার ফুয়াদ ছাত্রদলকে চাঁদাবাজ বলেছেন।

০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:০১
গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাইয়ের সময় ছুরিকাঘাতে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমানকে (৫৮) হত্যার ঘটনায় আসামি ইমরানকে (৩০) গ্রেফতার এবং হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে র্যাব-১। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় র্যাব-১-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রাকিব হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করছেন।
নিহত সিদ্দিকুর রহমান বরিশালের বাবুগঞ্জ থানাধীন মৃত ইসমাইল ফকিরের ছেলে। তিনি টঙ্গী পূর্ব থানাধীন মধুমিতা রোড এলাকায় পরিবারসহ ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। রাজধানীর কেরানীগঞ্জে বিদ্যুৎ বিভাগে বিদ্যুৎ ট্রান্সমিটারের স্টোর কিপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
র্যাব কর্মকর্তা রাকিব হাসান জানান, আসামি ইমরান গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানাধীন কড্ডা (কালাকুর) এলাকার ইউনুস তালুকদারের ছেলে। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে টঙ্গীর মাদক স্পট হিসেবে পরিচিত মাজার বস্তি থেকে আসামি ইমরানকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। সে একজন পেশাদার ছিনতাইকারী। গ্রেফতার ইমরান বর্তমানে র্যাব-১ এর হেফাজতে রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ইমরান স্বীকার করে সে মাদকসেবী। মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য মোবাইল ছিনতাই করে এবং বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমানকে হত্যা করে। ছিনতাই করা মোবাইলটি সে মাজার বস্তিতে ১০০০ টাকায় বিক্রি করে। গ্রেফতার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।
শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সিদ্দিক কর্মস্থল কেরানীগঞ্জে যাওয়ার সময় টঙ্গীর বিআরটি প্রকল্পের উড়াল সেতুতে ওঠার সময় ছিনতাইকারী ইমরান ভিকটিম সিদ্দিকুর রহমানের পথরোধ করে। এ সময় ছিনতাইকারী তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেয়। এতে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে ছিনতাইকারী ইমরানের সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে সিদ্দিকের বাঁ হাতের উপরে তিনটি আঘাত করলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলের নিচে সিঁড়ির কাছেই সিদ্দিকুর রহমানের মৃত্যু হয়।
গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাইয়ের সময় ছুরিকাঘাতে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমানকে (৫৮) হত্যার ঘটনায় আসামি ইমরানকে (৩০) গ্রেফতার এবং হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে র্যাব-১। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় র্যাব-১-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রাকিব হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করছেন।
নিহত সিদ্দিকুর রহমান বরিশালের বাবুগঞ্জ থানাধীন মৃত ইসমাইল ফকিরের ছেলে। তিনি টঙ্গী পূর্ব থানাধীন মধুমিতা রোড এলাকায় পরিবারসহ ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। রাজধানীর কেরানীগঞ্জে বিদ্যুৎ বিভাগে বিদ্যুৎ ট্রান্সমিটারের স্টোর কিপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
র্যাব কর্মকর্তা রাকিব হাসান জানান, আসামি ইমরান গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানাধীন কড্ডা (কালাকুর) এলাকার ইউনুস তালুকদারের ছেলে। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে টঙ্গীর মাদক স্পট হিসেবে পরিচিত মাজার বস্তি থেকে আসামি ইমরানকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। সে একজন পেশাদার ছিনতাইকারী। গ্রেফতার ইমরান বর্তমানে র্যাব-১ এর হেফাজতে রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ইমরান স্বীকার করে সে মাদকসেবী। মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য মোবাইল ছিনতাই করে এবং বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমানকে হত্যা করে। ছিনতাই করা মোবাইলটি সে মাজার বস্তিতে ১০০০ টাকায় বিক্রি করে। গ্রেফতার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।
শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সিদ্দিক কর্মস্থল কেরানীগঞ্জে যাওয়ার সময় টঙ্গীর বিআরটি প্রকল্পের উড়াল সেতুতে ওঠার সময় ছিনতাইকারী ইমরান ভিকটিম সিদ্দিকুর রহমানের পথরোধ করে। এ সময় ছিনতাইকারী তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেয়। এতে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে ছিনতাইকারী ইমরানের সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে সিদ্দিকের বাঁ হাতের উপরে তিনটি আঘাত করলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলের নিচে সিঁড়ির কাছেই সিদ্দিকুর রহমানের মৃত্যু হয়।

০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে বরিশালে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ওপর একটি সম্মিলিত মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) আয়োজিত এ মহড়ায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও বরিশাল এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এম খায়ের উদ্দীন, এসজিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি। তিনি অংশগ্রহণকারী মাঠ কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্র–ছাত্রীদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করেন।
জানা গেছে, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে ভূমিকম্পের পূর্ব ও পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ৭ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে ২–৪ ডিসেম্বর তিন দিনব্যাপী একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এই কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে অংশগ্রহণকারী মোট ১২০ জনকে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা, কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, উদ্ভূত পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা, আন্তঃপ্রতিষ্ঠান সমন্বয় এবং উদ্ধার কার্যক্রমের প্রস্তুতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্কুল–কলেজ থেকে অংশ নেওয়া ৩৭৫ জন মাঠ কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্র–ছাত্রীকে ২–৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম, প্রাথমিক চিকিৎসা এবং দলভিত্তিক সমন্বিত ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আয়োজকরা জানান, দুর্যোগ পরিস্থিতিতে কার্যকর ও দ্রুত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এই ধরনের মহড়া ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বরিশাল এলাকায় দুর্যোগ প্রস্তুতি আরও সুসংহত করতে সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে বরিশালে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ওপর একটি সম্মিলিত মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) আয়োজিত এ মহড়ায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও বরিশাল এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এম খায়ের উদ্দীন, এসজিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি। তিনি অংশগ্রহণকারী মাঠ কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্র–ছাত্রীদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করেন।
জানা গেছে, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে ভূমিকম্পের পূর্ব ও পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ৭ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে ২–৪ ডিসেম্বর তিন দিনব্যাপী একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এই কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে অংশগ্রহণকারী মোট ১২০ জনকে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা, কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, উদ্ভূত পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা, আন্তঃপ্রতিষ্ঠান সমন্বয় এবং উদ্ধার কার্যক্রমের প্রস্তুতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্কুল–কলেজ থেকে অংশ নেওয়া ৩৭৫ জন মাঠ কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্র–ছাত্রীকে ২–৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম, প্রাথমিক চিকিৎসা এবং দলভিত্তিক সমন্বিত ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আয়োজকরা জানান, দুর্যোগ পরিস্থিতিতে কার্যকর ও দ্রুত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এই ধরনের মহড়া ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বরিশাল এলাকায় দুর্যোগ প্রস্তুতি আরও সুসংহত করতে সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৬
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:০১
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:১৩