
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১০:১৫
ভারতের হরিয়ানার পানিপথের একটি গ্রামে বিয়ে বাড়িতে ৬ বছর বয়সী বিধি নামের এক শিশুকে চুবিয়ে মারার ঘটনায় এক নৃশংস হত্যারহস্য উন্মোচিত হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ৪ শিশুকে হত্যার দায়ে পুনম নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যার পেছনের কারণটি ভয়ংকর। অভিযুক্ত নারী চাননি কেউ তার চেয়ে ‘বেশি সুন্দর’ হোক।
গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) সবশেষ শিশু বিধি হত্যার ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত পুনম তার ফুফু বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত পুনম তার ভাতিজি বিধিসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আসেন। সেখানে ভাতিজিকে দেখে পুনমের মনে হয়, সে তার চেয়েও বেশি সুন্দরী।
এরপর পুনম তাকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেন।
বিধি তার দাদু পাল সিং, দাদি ওমবতী, বাবা সন্দীপ, মা ও ১০ মাসের ছোট ভাইকে নিয়ে পানিপথের ইজরানা এলাকার নৌলথা গ্রামে এক আত্মীয়ের বিয়েতে এসেছিল। গত সোমবার বেলা ১টা ৩০ মিনিটের দিকে বরযাত্রী নৌলথায় পৌঁছালে তার পরিবারও সেখানে যায়। কিছুক্ষণ পরে সন্দীপের ফোনে খবর আসে, বিধি হারিয়ে গেছে।
পরিবার তখনই খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
প্রায় ১ ঘণ্টা পর দাদি ওমবতী বাড়ির প্রথম তলার একটি স্টোররুমে যান। দরজাটি বাইরে থেকে আটকানো ছিল। দরজা খুলে তিনি দেখেন, পানিভর্তি একটি চৌবাচ্চায় শিশুটির মাথা ডোবানো। বিধিকে দ্রুত স্থানীয় এনসি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে সন্দীপ থানায় গিয়ে হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, শিশু বিধির হত্যার পেছনে ছিলেন তার ফুফু পুনম। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর উঠে আসে ভয়ংকর তথ্য। তিনি আগে আরো তিনটি শিশুকে একইভাবে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছেন।
পুলিশ বলছে, পুনমের হত্যার ধরন একই—প্রতিবার পানিভর্তি চৌবাচ্চায় শিশুকে ডুবিয়ে মারা। কারণ, সুন্দর শিশুদের প্রতি তার তীব্র ঈর্ষা, বিশেষ করে, ছোট ও সাজগোজ করা মেয়েদের প্রতি।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, পুনম ২০২৩ সালে প্রথম তার ননদের মেয়েকে হত্যা করেন। ওই ঘটনা দেখে ফেলায় একই বছর তিনি নিজের ছেলেকেও হত্যা করেন। চলতি বছরের আগস্টে তিনি সিওয়া গ্রামে আরো একটি মেয়েকে ‘নিজের চেয়ে সুন্দর’ মনে হওয়ায় হত্যা করেন।
বিধির হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুনম সত্য স্বীকার করার আগপর্যন্ত এই শিশুদের মৃত্যুগুলো দুর্ঘটনাজনিত বলেই ধরে নেওয়া হয়েছিল।
ভারতের হরিয়ানার পানিপথের একটি গ্রামে বিয়ে বাড়িতে ৬ বছর বয়সী বিধি নামের এক শিশুকে চুবিয়ে মারার ঘটনায় এক নৃশংস হত্যারহস্য উন্মোচিত হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ৪ শিশুকে হত্যার দায়ে পুনম নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যার পেছনের কারণটি ভয়ংকর। অভিযুক্ত নারী চাননি কেউ তার চেয়ে ‘বেশি সুন্দর’ হোক।
গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) সবশেষ শিশু বিধি হত্যার ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত পুনম তার ফুফু বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত পুনম তার ভাতিজি বিধিসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আসেন। সেখানে ভাতিজিকে দেখে পুনমের মনে হয়, সে তার চেয়েও বেশি সুন্দরী।
এরপর পুনম তাকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেন।
বিধি তার দাদু পাল সিং, দাদি ওমবতী, বাবা সন্দীপ, মা ও ১০ মাসের ছোট ভাইকে নিয়ে পানিপথের ইজরানা এলাকার নৌলথা গ্রামে এক আত্মীয়ের বিয়েতে এসেছিল। গত সোমবার বেলা ১টা ৩০ মিনিটের দিকে বরযাত্রী নৌলথায় পৌঁছালে তার পরিবারও সেখানে যায়। কিছুক্ষণ পরে সন্দীপের ফোনে খবর আসে, বিধি হারিয়ে গেছে।
পরিবার তখনই খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
প্রায় ১ ঘণ্টা পর দাদি ওমবতী বাড়ির প্রথম তলার একটি স্টোররুমে যান। দরজাটি বাইরে থেকে আটকানো ছিল। দরজা খুলে তিনি দেখেন, পানিভর্তি একটি চৌবাচ্চায় শিশুটির মাথা ডোবানো। বিধিকে দ্রুত স্থানীয় এনসি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে সন্দীপ থানায় গিয়ে হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, শিশু বিধির হত্যার পেছনে ছিলেন তার ফুফু পুনম। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর উঠে আসে ভয়ংকর তথ্য। তিনি আগে আরো তিনটি শিশুকে একইভাবে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছেন।
পুলিশ বলছে, পুনমের হত্যার ধরন একই—প্রতিবার পানিভর্তি চৌবাচ্চায় শিশুকে ডুবিয়ে মারা। কারণ, সুন্দর শিশুদের প্রতি তার তীব্র ঈর্ষা, বিশেষ করে, ছোট ও সাজগোজ করা মেয়েদের প্রতি।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, পুনম ২০২৩ সালে প্রথম তার ননদের মেয়েকে হত্যা করেন। ওই ঘটনা দেখে ফেলায় একই বছর তিনি নিজের ছেলেকেও হত্যা করেন। চলতি বছরের আগস্টে তিনি সিওয়া গ্রামে আরো একটি মেয়েকে ‘নিজের চেয়ে সুন্দর’ মনে হওয়ায় হত্যা করেন।
বিধির হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুনম সত্য স্বীকার করার আগপর্যন্ত এই শিশুদের মৃত্যুগুলো দুর্ঘটনাজনিত বলেই ধরে নেওয়া হয়েছিল।

০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২২:৫০

০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১০:২৯
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ফিলিস্তিনের গাজায় ফের হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে অন্তত পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সাংবাদিক ও শিশুও রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন।
মার্কিন-মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি জারি থাকা সত্ত্বেও ইসরাইল ট্যাংক ও ড্রোন থেকে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে এবং এতে বারবারই লঙ্ঘিত হচ্ছে যুদ্ধবিরতি, বাড়ছে হতাহত ও ধ্বংসযজ্ঞ। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের।
গাজার চিকিৎসা সূত্র জানায়, গাজা সিটির আল-তুফাহ এলাকায় ইসরাইলি গোলাবর্ষণে দুজন নিহত হন, যার এক শিশুও নিহত হয়েছে । আহত ১৫ জনকে আল-আহলি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। এছাড়া পূর্ব গাজা সিটির জায়তুন এলাকায় ইসরায়েলি গুলিতে আরও এক ফিলিস্তিনি নিহত হন।
পরে খান ইউনিসের কেন্দ্রীয় অংশে ইসরাইলি হামলায় ফটোসাংবাদিক মাহমুদ ওয়াদি নিহত হন। চিকিৎসকরা জানান, যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে যে এলাকা ইসরাইলি নিয়ন্ত্রণাধীন হিসেবে চিহ্নিত নয় সেই জায়গায় ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হন।
ওয়াদির বাবা ইসসাম বলেন, ‘মাহমুদ নিরাপদ এলাকায় ছবি তুলছিল... কিন্তু ইসরাইল কোনো অঙ্গীকার বা প্রতিশ্রুতি পূরণ করে না।’
গাজা সিটির কেন্দ্রীয় অংশের আল-দারাজ স্কুলে ইসরাইলি গোলাবর্ষণে নারীসহ আরও ১৭ জন আহত হয়েছেন। ওই স্কুলটিতে বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। গাজা সিভিল ডিফেন্স বলছে, আল-তুফাহ এলাকায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন এবং ইউনাইটেড নেশনস ওসা’র সহায়তায় উদ্ধারকর্মীরা আটকে পড়া বহু মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উত্তরের বেইত লাহিয়ায় ইসরাইলি বাহিনী বহু ভবন ও স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে। এই এলাকা এখনো ইসরাইলি সামরিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া গাজা সিটি, খান ইউনিস ও রাফাহ এলাকা এখনও ইসরাইলি হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৩৫৬ জন নিহত এবং আরও ৯০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলের হামলায় ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ৭১ হাজারেরও বেশি মানুষ।
গাজা গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস জানায়, ওয়াদি নিহত হওয়ার পর গাজায় সাংবাদিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৭ জনে। তারা অভিযোগ করেছে, ইসরাইল ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের ওপর ‘বুঝেশুনে হামলা ও টার্গেটেড হত্যাকাণ্ড’ চালাচ্ছে।

৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:৩৩
কৃষ্ণসাগর অতিক্রমের সময় রাশিয়ার কথিত ‘ছায়া নৌবহরের’ জ্বালানি তেলবাহী দুটি ট্যাংকারে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের নৌবাহিনী। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির যাচাই করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, উচ্চগতিতে ছুটে আসা ড্রোনগুলো সরাসরি ট্যাংকারগুলোতে আঘাত হানে। মুহূর্তেই ঘটে বিস্ফোরণ, ছড়িয়ে পড়ে আগুন আর কালো ধোঁয়া।
তুরস্কের উপকূলে গত শুক্রবার ‘এমটি কায়রোস’ ও ‘বিরাট’ নামের গাম্বিয়ার পতাকাবাহী ট্যাংকার দুটির ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরদিন শনিবার ‘বিরাট’ ট্যাংকারে আরো একটি হামলার খবর পাওয়া গেছে। তবে এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের তথ্য নেই।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের সূত্র মতে, এমটি কায়রোস থেকে ২৫ নাবিককে উদ্ধার করেন তুরস্কের কোস্ট গার্ডের সদস্যরা।
যাদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশি নাবিক আছেন। তারা সবাই সুস্থ আছেন।
ইউক্রেনের সামরিক ও নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, হামলায় ‘সি বেবি’ নামের বিশেষ নৌ ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে, যা তৈরি করেছে ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষেবা (এসবিইউ)।
রাশিয়ার তেল নির্ভরশীল যুদ্ধ-অর্থায়ন দুর্বল করতেই সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানি অবকাঠামো ও পরিবহনব্যবস্থায় বেছে বেছে হামলা চালাচ্ছে কিয়েভ।
২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে পুরনো ও মালিকানা-অস্পষ্ট শত শত জাহাজ নিয়ে ‘ছায়া নৌবহর’ দাঁড় করিয়েছে মস্কো। বীমা ও রেজিস্ট্রেশন নিয়েও এসব ট্যাংকারকে ঘিরে রয়েছে নানা ধোয়াঁশা।
কৃষ্ণসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমে ‘কায়রোস’ এবং আরো পূর্ব অঞ্চলে ‘বিরাট’ ট্যাংকারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য মতে, দুটি ট্যাংকারই আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির মেয়র জোহরান মামদানি ঘোষণা দিয়েছিলেন, মেয়র হলে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করবেন তিনি। তবে মামদানির এ সতর্কতা সত্ত্বেও নিউইয়র্কে যাবেন বলে জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই ঘোষণা দেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের ডিলবুক ফোরামে ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি নিউইয়র্কে আসব।’ নব নির্বাচিত মেয়র মামদানির সঙ্গে কথা বলতে চান কি না জানতে চাইলে নেতানিয়াহু উত্তর দেন, ‘যদি তিনি (মামদানি) তার মন পরিবর্তন করেন এবং বলেন, আমাদের (ইসরায়েল) অস্তিত্বের অধিকার আছে, তাহলে আলোচনার জন্য এটি একটি ভালো সূচনা হবে।’
মামদানি নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম এবং প্রথম দক্ষিণ এশীয় মেয়র। যিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) যেসব বিশ্বনেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে (যেমন নেতানিয়াহু বা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন), তারা নিউইয়র্কে প্রবেশ করলে গ্রেপ্তার করা হবে।
গত বছর হেগভিত্তিক আইসিসি জানায়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার কারণে নেতানিয়াহু যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ি। এমনটি বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
ইসরায়েল এসব অভিযোগের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া, এই তিন দেশই আইসিসিতে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে মামদানির বক্তব্য সত্ত্বেও নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তার কার্যত অসম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে এবং এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে একজন নির্বাচিত মেয়রের কতটুকু ক্ষমতা রয়েছে, তা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।
ফেডারেল সরকারই যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করে।
আর সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইসরায়েলের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। এমনকি আইসিসির বিচারক ও প্রসিকিউটরদের ওপর নিষেধাজ্ঞা পর্যন্ত আরোপ করেছিল ট্রাম্প।
নিউইয়র্ক শহর ইসরায়েলের বাইরে বিশ্বের সর্বাধিক ইহুদি জনসংখ্যার আবাসস্থল। পাশাপাশি এখানে জাতিসংঘের সদর দপ্তরও অবস্থিত, যেখানে নেতানিয়াহু প্রতিবছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে অংশ নেন।
চুক্তি অনুযায়ী, আয়োজক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতিসংঘের সরকারি কার্যক্রমের জন্য ভিসা প্রদান করা বাধ্যতামূলক। যদিও গত সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাসকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির মেয়র জোহরান মামদানি ঘোষণা দিয়েছিলেন, মেয়র হলে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করবেন তিনি। তবে মামদানির এ সতর্কতা সত্ত্বেও নিউইয়র্কে যাবেন বলে জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই ঘোষণা দেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের ডিলবুক ফোরামে ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি নিউইয়র্কে আসব।’ নব নির্বাচিত মেয়র মামদানির সঙ্গে কথা বলতে চান কি না জানতে চাইলে নেতানিয়াহু উত্তর দেন, ‘যদি তিনি (মামদানি) তার মন পরিবর্তন করেন এবং বলেন, আমাদের (ইসরায়েল) অস্তিত্বের অধিকার আছে, তাহলে আলোচনার জন্য এটি একটি ভালো সূচনা হবে।’
মামদানি নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম এবং প্রথম দক্ষিণ এশীয় মেয়র। যিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) যেসব বিশ্বনেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে (যেমন নেতানিয়াহু বা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন), তারা নিউইয়র্কে প্রবেশ করলে গ্রেপ্তার করা হবে।
গত বছর হেগভিত্তিক আইসিসি জানায়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার কারণে নেতানিয়াহু যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ি। এমনটি বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
ইসরায়েল এসব অভিযোগের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া, এই তিন দেশই আইসিসিতে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে মামদানির বক্তব্য সত্ত্বেও নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তার কার্যত অসম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে এবং এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে একজন নির্বাচিত মেয়রের কতটুকু ক্ষমতা রয়েছে, তা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।
ফেডারেল সরকারই যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করে।
আর সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইসরায়েলের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। এমনকি আইসিসির বিচারক ও প্রসিকিউটরদের ওপর নিষেধাজ্ঞা পর্যন্ত আরোপ করেছিল ট্রাম্প।
নিউইয়র্ক শহর ইসরায়েলের বাইরে বিশ্বের সর্বাধিক ইহুদি জনসংখ্যার আবাসস্থল। পাশাপাশি এখানে জাতিসংঘের সদর দপ্তরও অবস্থিত, যেখানে নেতানিয়াহু প্রতিবছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে অংশ নেন।
চুক্তি অনুযায়ী, আয়োজক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতিসংঘের সরকারি কার্যক্রমের জন্য ভিসা প্রদান করা বাধ্যতামূলক। যদিও গত সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাসকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ফিলিস্তিনের গাজায় ফের হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে অন্তত পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সাংবাদিক ও শিশুও রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন।
মার্কিন-মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি জারি থাকা সত্ত্বেও ইসরাইল ট্যাংক ও ড্রোন থেকে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে এবং এতে বারবারই লঙ্ঘিত হচ্ছে যুদ্ধবিরতি, বাড়ছে হতাহত ও ধ্বংসযজ্ঞ। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের।
গাজার চিকিৎসা সূত্র জানায়, গাজা সিটির আল-তুফাহ এলাকায় ইসরাইলি গোলাবর্ষণে দুজন নিহত হন, যার এক শিশুও নিহত হয়েছে । আহত ১৫ জনকে আল-আহলি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। এছাড়া পূর্ব গাজা সিটির জায়তুন এলাকায় ইসরায়েলি গুলিতে আরও এক ফিলিস্তিনি নিহত হন।
পরে খান ইউনিসের কেন্দ্রীয় অংশে ইসরাইলি হামলায় ফটোসাংবাদিক মাহমুদ ওয়াদি নিহত হন। চিকিৎসকরা জানান, যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে যে এলাকা ইসরাইলি নিয়ন্ত্রণাধীন হিসেবে চিহ্নিত নয় সেই জায়গায় ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হন।
ওয়াদির বাবা ইসসাম বলেন, ‘মাহমুদ নিরাপদ এলাকায় ছবি তুলছিল... কিন্তু ইসরাইল কোনো অঙ্গীকার বা প্রতিশ্রুতি পূরণ করে না।’
গাজা সিটির কেন্দ্রীয় অংশের আল-দারাজ স্কুলে ইসরাইলি গোলাবর্ষণে নারীসহ আরও ১৭ জন আহত হয়েছেন। ওই স্কুলটিতে বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। গাজা সিভিল ডিফেন্স বলছে, আল-তুফাহ এলাকায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন এবং ইউনাইটেড নেশনস ওসা’র সহায়তায় উদ্ধারকর্মীরা আটকে পড়া বহু মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উত্তরের বেইত লাহিয়ায় ইসরাইলি বাহিনী বহু ভবন ও স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে। এই এলাকা এখনো ইসরাইলি সামরিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া গাজা সিটি, খান ইউনিস ও রাফাহ এলাকা এখনও ইসরাইলি হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৩৫৬ জন নিহত এবং আরও ৯০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলের হামলায় ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ৭১ হাজারেরও বেশি মানুষ।
গাজা গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস জানায়, ওয়াদি নিহত হওয়ার পর গাজায় সাংবাদিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৭ জনে। তারা অভিযোগ করেছে, ইসরাইল ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের ওপর ‘বুঝেশুনে হামলা ও টার্গেটেড হত্যাকাণ্ড’ চালাচ্ছে।
কৃষ্ণসাগর অতিক্রমের সময় রাশিয়ার কথিত ‘ছায়া নৌবহরের’ জ্বালানি তেলবাহী দুটি ট্যাংকারে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের নৌবাহিনী। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির যাচাই করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, উচ্চগতিতে ছুটে আসা ড্রোনগুলো সরাসরি ট্যাংকারগুলোতে আঘাত হানে। মুহূর্তেই ঘটে বিস্ফোরণ, ছড়িয়ে পড়ে আগুন আর কালো ধোঁয়া।
তুরস্কের উপকূলে গত শুক্রবার ‘এমটি কায়রোস’ ও ‘বিরাট’ নামের গাম্বিয়ার পতাকাবাহী ট্যাংকার দুটির ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরদিন শনিবার ‘বিরাট’ ট্যাংকারে আরো একটি হামলার খবর পাওয়া গেছে। তবে এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের তথ্য নেই।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের সূত্র মতে, এমটি কায়রোস থেকে ২৫ নাবিককে উদ্ধার করেন তুরস্কের কোস্ট গার্ডের সদস্যরা।
যাদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশি নাবিক আছেন। তারা সবাই সুস্থ আছেন।
ইউক্রেনের সামরিক ও নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, হামলায় ‘সি বেবি’ নামের বিশেষ নৌ ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে, যা তৈরি করেছে ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষেবা (এসবিইউ)।
রাশিয়ার তেল নির্ভরশীল যুদ্ধ-অর্থায়ন দুর্বল করতেই সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানি অবকাঠামো ও পরিবহনব্যবস্থায় বেছে বেছে হামলা চালাচ্ছে কিয়েভ।
২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে পুরনো ও মালিকানা-অস্পষ্ট শত শত জাহাজ নিয়ে ‘ছায়া নৌবহর’ দাঁড় করিয়েছে মস্কো। বীমা ও রেজিস্ট্রেশন নিয়েও এসব ট্যাংকারকে ঘিরে রয়েছে নানা ধোয়াঁশা।
কৃষ্ণসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমে ‘কায়রোস’ এবং আরো পূর্ব অঞ্চলে ‘বিরাট’ ট্যাংকারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য মতে, দুটি ট্যাংকারই আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৬
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:০১
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:১৩