
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:৩৩
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ঘটেছে এক অবিশ্বাস্য ঘটনা! কবর খুঁড়ে উদ্ধার করা হলো একটি মোবাইল ফোন-আর এতে এলাকায় দেখা দিয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও কৌতূহল।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে দয়ারামপুর ইউনিয়নের জয়ন্তীপুর সামাজিক কবরস্থান থেকেই মোবাইলটি উদ্ধার করেন স্থানীয় যুবক সামিউল ইসলাম সামি। আগের দিন রাতেই ফোনটি হারিয়ে যায়।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাতে। জানাজা ও দাফনকাজে অংশ নিতে কবরস্থানে গিয়েছিলেন সামি। নিজের অজান্তেই ফোন নিয়ে গিয়েছিলেন কবরের কাছে। দাফন শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন-জ্যাকেটের পকেটে নেই মোবাইল!
জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে জানাজা ও দাফনকাজে অংশ নেন সামি। এ সময় মোবাইল নিয়ে কবর পর্যন্ত যান তিনি। দাফন শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন জ্যাকেটের পকেটে ফোনটি নেই।
সামিউল ইসলাম সামি জানান, ‘আমি একরকম নিশ্চিত ছিলাম ফোনটা কবরেই পড়ে আছে। কেউ যদি পেত, নিশ্চয়ই অফ করে দিত বা সিম খুলে ফেলত। যেহেতু ফোনে রিং হচ্ছিল তাই ধারণা করেছিলাম ফোনটা কবরস্থানেই আছে। আলহামদুল্লাহ, সকালে কবর খুঁড়ে ফোনটি পেয়েছি।’
জয়ন্তীপুর বাজার জামে মসজিদের ইমাম আব্দুর রউফ জানান, ‘ফোনটি কবরের উপরের অংশে থাকায় সহজে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সাধারণত দাফনের সময় কবরের ওপরে খাপাচি দিয়ে মাটি দেওয়া হয়। মোবাইলটি সেই খাপের উপরের দিকে থাকার কারণে গভীরে না গিয়ে উপরের অংশে অবস্থান করেছে। এমন ঘটনা সত্যিই বিরল এবং আশ্চর্যজনক। আল্লাহর রহমতে এটি সবাইকে শিক্ষা ও স্বস্তি বয়ে এনেছে।’
স্থানীয় প্রতিবেশী মুসা আলম জানান, ‘এমন ঘটনা আমরা আগে কখনো দেখিনি। কবর থেকে মোবাইল বের হওয়া সত্যিই বিস্ময়কর। সামি খুব খুশি হয়েছে এবং আমরা সবাইও অবাক।’
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ঘটেছে এক অবিশ্বাস্য ঘটনা! কবর খুঁড়ে উদ্ধার করা হলো একটি মোবাইল ফোন-আর এতে এলাকায় দেখা দিয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও কৌতূহল।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে দয়ারামপুর ইউনিয়নের জয়ন্তীপুর সামাজিক কবরস্থান থেকেই মোবাইলটি উদ্ধার করেন স্থানীয় যুবক সামিউল ইসলাম সামি। আগের দিন রাতেই ফোনটি হারিয়ে যায়।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাতে। জানাজা ও দাফনকাজে অংশ নিতে কবরস্থানে গিয়েছিলেন সামি। নিজের অজান্তেই ফোন নিয়ে গিয়েছিলেন কবরের কাছে। দাফন শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন-জ্যাকেটের পকেটে নেই মোবাইল!
জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে জানাজা ও দাফনকাজে অংশ নেন সামি। এ সময় মোবাইল নিয়ে কবর পর্যন্ত যান তিনি। দাফন শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন জ্যাকেটের পকেটে ফোনটি নেই।
সামিউল ইসলাম সামি জানান, ‘আমি একরকম নিশ্চিত ছিলাম ফোনটা কবরেই পড়ে আছে। কেউ যদি পেত, নিশ্চয়ই অফ করে দিত বা সিম খুলে ফেলত। যেহেতু ফোনে রিং হচ্ছিল তাই ধারণা করেছিলাম ফোনটা কবরস্থানেই আছে। আলহামদুল্লাহ, সকালে কবর খুঁড়ে ফোনটি পেয়েছি।’
জয়ন্তীপুর বাজার জামে মসজিদের ইমাম আব্দুর রউফ জানান, ‘ফোনটি কবরের উপরের অংশে থাকায় সহজে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সাধারণত দাফনের সময় কবরের ওপরে খাপাচি দিয়ে মাটি দেওয়া হয়। মোবাইলটি সেই খাপের উপরের দিকে থাকার কারণে গভীরে না গিয়ে উপরের অংশে অবস্থান করেছে। এমন ঘটনা সত্যিই বিরল এবং আশ্চর্যজনক। আল্লাহর রহমতে এটি সবাইকে শিক্ষা ও স্বস্তি বয়ে এনেছে।’
স্থানীয় প্রতিবেশী মুসা আলম জানান, ‘এমন ঘটনা আমরা আগে কখনো দেখিনি। কবর থেকে মোবাইল বের হওয়া সত্যিই বিস্ময়কর। সামি খুব খুশি হয়েছে এবং আমরা সবাইও অবাক।’

১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২২:৩৭
রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদ বেঁচে নেই। রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশু সাজিদকে রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। তবে শিশুটি আগেই মারা গেছে বলে জানান তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৫০ মিনিটে সাজিদকে উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। উদ্ধার শেষে তাকে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে মায়ের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে যায় সাজিদ। এরপর বেলা ২টা ৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। অভিযানে একে একে যোগ দেয় আটটি ইউনিট।
ফায়ার সার্ভিস প্রথম পর্যায়ে চার্জ ভিশন ক্যামেরা দিয়ে প্রায় ৩৫ ফুট পর্যন্ত অনুসন্ধান চালায়। তবে শিশুর অবস্থান শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়। এরপর পাশেই এস্কেভেটর দিয়ে রাতভর প্রায় ৩৫ ফুট গভীর বড় একটি গর্ত খনন করা হয়। সকালে সেই গর্ত থেকে নলকূপের দিকে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার চেষ্টা করা হলেও সেখানেও শিশুর অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি।
এরপর আবারও পরিত্যক্ত নলকূপে ক্যামেরা নামানো হলে সেটিতে মাটি ছাড়া আর কিছু দেখা যায়নি। এরপর নতুন করে আবারও খননের সিদ্ধান্ত নেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বছরখানেক আগে জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য ওই নলকূপ খোঁড়া হয়েছিল। পানি না ওঠায় মালিক সেটি মাটি দিয়ে ঢেকে রাখেন। সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে মাটি ধসে পড়ে নলকূপের মুখ আবারও উন্মুক্ত হয়ে যায়। সেই গর্তেই দুর্ঘটনাবশত পড়ে যায় শিশু সাজিদ।
শিশুটির মা রুনা খাতুন জানান, বুধবার দুপুর ১টার দিকে মেজো ছেলে সাজিদের হাত ধরে তিনি বাড়ির পাশের মাঠে যাচ্ছিলেন। এ সময় তার ছোট একটি সন্তান কোলে ছিল। হাঁটার সময় হঠাৎ সাজিদ ‘মা’ বলে ডেকে ওঠে। পেছনে তাকিয়ে দেখেন, ছেলে নেই, গর্তের ভেতর থেকে ‘মা, মা’ বলে ডাকছে।
গর্তটির ওপরে খড় বিছানো ছিল। ওখানে যে গর্ত ছিল, সেটা বুঝতে পারেননি তিনি নিজে কিংবা শিশু সাজিদ। ওই জায়গায় পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুটি গর্তের ভেতর পড়ে যায়। লোকজন ডাকাডাকি করতে করতেই গর্তের তলায় চলে যায়।
শিশু সাজিদরা তিন ভাই। বড় ভাই সাদমান স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ছোট ভাই সাব্বিরের বয়স মাত্র তিন মাস। বাবা রাকিব গাজীপুরে একটি ঝুট কারখানায় কাজ করেন।
রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদ বেঁচে নেই। রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশু সাজিদকে রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। তবে শিশুটি আগেই মারা গেছে বলে জানান তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৫০ মিনিটে সাজিদকে উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। উদ্ধার শেষে তাকে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে মায়ের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে যায় সাজিদ। এরপর বেলা ২টা ৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। অভিযানে একে একে যোগ দেয় আটটি ইউনিট।
ফায়ার সার্ভিস প্রথম পর্যায়ে চার্জ ভিশন ক্যামেরা দিয়ে প্রায় ৩৫ ফুট পর্যন্ত অনুসন্ধান চালায়। তবে শিশুর অবস্থান শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়। এরপর পাশেই এস্কেভেটর দিয়ে রাতভর প্রায় ৩৫ ফুট গভীর বড় একটি গর্ত খনন করা হয়। সকালে সেই গর্ত থেকে নলকূপের দিকে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার চেষ্টা করা হলেও সেখানেও শিশুর অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি।
এরপর আবারও পরিত্যক্ত নলকূপে ক্যামেরা নামানো হলে সেটিতে মাটি ছাড়া আর কিছু দেখা যায়নি। এরপর নতুন করে আবারও খননের সিদ্ধান্ত নেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বছরখানেক আগে জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য ওই নলকূপ খোঁড়া হয়েছিল। পানি না ওঠায় মালিক সেটি মাটি দিয়ে ঢেকে রাখেন। সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে মাটি ধসে পড়ে নলকূপের মুখ আবারও উন্মুক্ত হয়ে যায়। সেই গর্তেই দুর্ঘটনাবশত পড়ে যায় শিশু সাজিদ।
শিশুটির মা রুনা খাতুন জানান, বুধবার দুপুর ১টার দিকে মেজো ছেলে সাজিদের হাত ধরে তিনি বাড়ির পাশের মাঠে যাচ্ছিলেন। এ সময় তার ছোট একটি সন্তান কোলে ছিল। হাঁটার সময় হঠাৎ সাজিদ ‘মা’ বলে ডেকে ওঠে। পেছনে তাকিয়ে দেখেন, ছেলে নেই, গর্তের ভেতর থেকে ‘মা, মা’ বলে ডাকছে।
গর্তটির ওপরে খড় বিছানো ছিল। ওখানে যে গর্ত ছিল, সেটা বুঝতে পারেননি তিনি নিজে কিংবা শিশু সাজিদ। ওই জায়গায় পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুটি গর্তের ভেতর পড়ে যায়। লোকজন ডাকাডাকি করতে করতেই গর্তের তলায় চলে যায়।
শিশু সাজিদরা তিন ভাই। বড় ভাই সাদমান স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ছোট ভাই সাব্বিরের বয়স মাত্র তিন মাস। বাবা রাকিব গাজীপুরে একটি ঝুট কারখানায় কাজ করেন।

১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২২:১২
দুদকের আবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধান নিষ্পত্তির আগে সম্পদসমূহ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে পরবর্তীতে এই টাকা উদ্ধারকরণ দুরূহ হয়ে পড়বে। এজন্য মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যসহ তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট স্বত্বা এবং স্বত্বার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির স্বার্থসংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পদসমূহ জরুরি ভিত্তিতে ক্রোক করা একান্ত প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) এস আলম গ্রুপের কর্ণধার ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাইফুল আলম, তার পরিবারের সদস্য এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে থাকা ১ হাজার ৯৩৬ দশমিক ৫০ একর জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এ আদেশ দেন। জব্দকৃত এসব সম্পদের আনুমানিক মূল্য দেখানো হয়েছে ১৬ হাজার ৯৪০ কোটি ৬ লাখ ৭৭৩ টাকা।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিন আদালতে দুদকের পক্ষে এসব সম্পত্তি অবরুদ্ধ করার আবেদন জানান সংস্থাটির উপ-পরিচালক তানসিন মুনাবিল হক।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট স্বত্বা ও স্বত্বার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং সংগঠনের অভিযোগটি অনুসন্ধানের জন্য অনুসন্ধান ও তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আবেদনে আরও বলা হয়, অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যরাসহ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট স্বত্বা ও স্বত্বার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে বেনামে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাতপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা স্থাবর সম্পদসমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন।
সম্পদ জব্দের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে আবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধান নিষ্পত্তির আগে সম্পদসমূহ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে পরবর্তীতে এই টাকা উদ্ধারকরণ দুরূহ হয়ে পড়বে। এজন্য মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যরাসহ তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট স্বত্বা এবং স্বত্বার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির স্বার্থসংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পদসমূহ জরুরি ভিত্তিতে ক্রোক করা একান্ত প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২০ অক্টোবর এস আলমের মালিকানাধীন ১০৫টি কোম্পানির ৫১৩ কোটি ১৮ লাখ ৩২ হাজার ২৮২টি শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া গত ২৫ সেপ্টেম্বর এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম, গ্রুপটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ ও পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারিরও আদেশ দেন আদালত।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধান নিষ্পত্তির আগে সম্পদসমূহ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে পরবর্তীতে এই টাকা উদ্ধারকরণ দুরূহ হয়ে পড়বে। এজন্য মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যসহ তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট স্বত্বা এবং স্বত্বার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির স্বার্থসংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পদসমূহ জরুরি ভিত্তিতে ক্রোক করা একান্ত প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) এস আলম গ্রুপের কর্ণধার ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাইফুল আলম, তার পরিবারের সদস্য এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে থাকা ১ হাজার ৯৩৬ দশমিক ৫০ একর জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এ আদেশ দেন। জব্দকৃত এসব সম্পদের আনুমানিক মূল্য দেখানো হয়েছে ১৬ হাজার ৯৪০ কোটি ৬ লাখ ৭৭৩ টাকা।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিন আদালতে দুদকের পক্ষে এসব সম্পত্তি অবরুদ্ধ করার আবেদন জানান সংস্থাটির উপ-পরিচালক তানসিন মুনাবিল হক।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট স্বত্বা ও স্বত্বার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং সংগঠনের অভিযোগটি অনুসন্ধানের জন্য অনুসন্ধান ও তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আবেদনে আরও বলা হয়, অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যরাসহ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট স্বত্বা ও স্বত্বার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে বেনামে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাতপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা স্থাবর সম্পদসমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন।
সম্পদ জব্দের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে আবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধান নিষ্পত্তির আগে সম্পদসমূহ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে পরবর্তীতে এই টাকা উদ্ধারকরণ দুরূহ হয়ে পড়বে। এজন্য মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যরাসহ তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট স্বত্বা এবং স্বত্বার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির স্বার্থসংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পদসমূহ জরুরি ভিত্তিতে ক্রোক করা একান্ত প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২০ অক্টোবর এস আলমের মালিকানাধীন ১০৫টি কোম্পানির ৫১৩ কোটি ১৮ লাখ ৩২ হাজার ২৮২টি শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া গত ২৫ সেপ্টেম্বর এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম, গ্রুপটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ ও পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারিরও আদেশ দেন আদালত।

১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:৪৭
পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের গর্তের ভেতর পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশু সাজিদকে ৩২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিস এ তথ্য নিশ্চিত করে
ফায়ার সার্ভিস বলছে, রাত ৯টার দিকে সাজিদকে গর্ত থেকে বের করা হয়। উদ্ধারের পর শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার রাজশাহীর তানোরে শিশু সাজিদ তার মায়ের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের মধ্যে পড়ে যায়। এরপর থেকেই ফায়ার সার্ভিসসহ স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধারে আপ্রাণ চেষ্টা শুরু করে।
বিস্তারিত আসছে...
পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের গর্তের ভেতর পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশু সাজিদকে ৩২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিস এ তথ্য নিশ্চিত করে
ফায়ার সার্ভিস বলছে, রাত ৯টার দিকে সাজিদকে গর্ত থেকে বের করা হয়। উদ্ধারের পর শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার রাজশাহীর তানোরে শিশু সাজিদ তার মায়ের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের মধ্যে পড়ে যায়। এরপর থেকেই ফায়ার সার্ভিসসহ স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধারে আপ্রাণ চেষ্টা শুরু করে।
বিস্তারিত আসছে...

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.