
১৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:৫১
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালসহ স্বাস্থ্যখাতের সংস্কারের দাবিতে যে আন্দোলন চলছে সেটির বিরুদ্ধে এবার আন্দোলনে নেমেছেন চিকিৎসক-নার্সসহ কর্মরতরা।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা সবার নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় বিভিন্ন দাবি নিয়ে অনশনরত দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করে তুলে দেওয়া হয়। শুক্রবারের (১৫ আগস্ট) মধ্যে এ আন্দোলন বন্ধ না হলে শনিবার থেকে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্স এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন।
ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিক্ষোভরতরা হাসপাতালের সামনের বান্দ রোড সড়কে অবস্থান নেন। এরপর সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আবারও ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এ সময় হাসপাতালের মাঝের গেটে হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা নিয়ে অনশনরত দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করে তুলে দেওয়া হয়।
সেখানে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ। সমাবেশ থেকে আন্দোলনরতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। এতে করে তাদের কর্মপরিবেশ নষ্ট এবং তাদের নিরাপত্তার দাবি তোলেন। শুক্রবারের মধ্যে এ আন্দোলন শেষ না হলে শনিবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দেন চিকিৎসকরা।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া মিড লেভেল ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. সাখাওয়াত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, হাসপাতাল নিয়ে আন্দোলনকারীদের যৌক্তিক দাবির প্রতি আমাদেরও সমর্থন ছিল।
পরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু জাফর তিনি বরিশালে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের দাবি মেনে নেন। কিন্তু এরপরও তারা আন্দোলন চালিয়ে চিকিৎসা সেবায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে আন্দোলনকারীরা সারাক্ষণ হাসপাতালে রোগীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছেন।
তারা বলেন, এমনকি একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। তারা সারাক্ষণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ করে চিকিৎসক ও নার্সসহ হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে মানহানিকর শব্দচয়ন করছে। তারপরও আন্দোলন যৌক্তিকতা থাকায় আমরা চুপ ছিলাম। কিন্তু মহাপরিচালকের আশ্বাসের পর এ আন্দোলনের কোনও যৌক্তিকতা নেই।
চিকিৎসকরা বলেন, কে বা কারা অনশনে থাকা শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করেছে তা আমরা জানি না। আমাদের সাফ কথা, শুক্রবারের মধ্যে এ আন্দোলন বন্ধ না হলে শনিবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাবো। সে ক্ষেত্রে আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে দেশের অন্য হাসপাতালও থাকবে।
এ বিষয়ে হাসপাতালে দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ কমিশনার বেলাল হোসেন বলেন, এখানে কোনও ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেনি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা কাজ করছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালসহ স্বাস্থ্যখাতের সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের সঙ্গে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কথা বলেন এবং দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। এরপর আন্দোলনকারীদের একটি অংশ একমাসের আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন। একটি অংশ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আসার দাবিতে আন্দোলনে অনড় থাকে।
গল ১৬ দিন ধরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের সব হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা দূর করারসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলন করছে ছাত্র-জনতা।
প্রথমে আন্দোলন মেডিক্যাল ক্যাম্পাস এবং নগরী কেন্দ্রিক হলেও পরে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকা অবরোধ করলে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রী-পথচারী থেকে শুরু করে যানবাহন সংশ্লিষ্ট এবং ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালসহ স্বাস্থ্যখাতের সংস্কারের দাবিতে যে আন্দোলন চলছে সেটির বিরুদ্ধে এবার আন্দোলনে নেমেছেন চিকিৎসক-নার্সসহ কর্মরতরা।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা সবার নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় বিভিন্ন দাবি নিয়ে অনশনরত দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করে তুলে দেওয়া হয়। শুক্রবারের (১৫ আগস্ট) মধ্যে এ আন্দোলন বন্ধ না হলে শনিবার থেকে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্স এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন।
ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিক্ষোভরতরা হাসপাতালের সামনের বান্দ রোড সড়কে অবস্থান নেন। এরপর সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আবারও ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এ সময় হাসপাতালের মাঝের গেটে হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা নিয়ে অনশনরত দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করে তুলে দেওয়া হয়।
সেখানে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ। সমাবেশ থেকে আন্দোলনরতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। এতে করে তাদের কর্মপরিবেশ নষ্ট এবং তাদের নিরাপত্তার দাবি তোলেন। শুক্রবারের মধ্যে এ আন্দোলন শেষ না হলে শনিবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দেন চিকিৎসকরা।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া মিড লেভেল ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. সাখাওয়াত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, হাসপাতাল নিয়ে আন্দোলনকারীদের যৌক্তিক দাবির প্রতি আমাদেরও সমর্থন ছিল।
পরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু জাফর তিনি বরিশালে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের দাবি মেনে নেন। কিন্তু এরপরও তারা আন্দোলন চালিয়ে চিকিৎসা সেবায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে আন্দোলনকারীরা সারাক্ষণ হাসপাতালে রোগীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছেন।
তারা বলেন, এমনকি একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। তারা সারাক্ষণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ করে চিকিৎসক ও নার্সসহ হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে মানহানিকর শব্দচয়ন করছে। তারপরও আন্দোলন যৌক্তিকতা থাকায় আমরা চুপ ছিলাম। কিন্তু মহাপরিচালকের আশ্বাসের পর এ আন্দোলনের কোনও যৌক্তিকতা নেই।
চিকিৎসকরা বলেন, কে বা কারা অনশনে থাকা শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করেছে তা আমরা জানি না। আমাদের সাফ কথা, শুক্রবারের মধ্যে এ আন্দোলন বন্ধ না হলে শনিবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাবো। সে ক্ষেত্রে আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে দেশের অন্য হাসপাতালও থাকবে।
এ বিষয়ে হাসপাতালে দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ কমিশনার বেলাল হোসেন বলেন, এখানে কোনও ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেনি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা কাজ করছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালসহ স্বাস্থ্যখাতের সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের সঙ্গে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কথা বলেন এবং দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। এরপর আন্দোলনকারীদের একটি অংশ একমাসের আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন। একটি অংশ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আসার দাবিতে আন্দোলনে অনড় থাকে।
গল ১৬ দিন ধরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের সব হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা দূর করারসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলন করছে ছাত্র-জনতা।
প্রথমে আন্দোলন মেডিক্যাল ক্যাম্পাস এবং নগরী কেন্দ্রিক হলেও পরে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকা অবরোধ করলে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রী-পথচারী থেকে শুরু করে যানবাহন সংশ্লিষ্ট এবং ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা।

১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:৪৮
বরিশালে আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন সহকারি উপ-পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ দুই পুলিশ সদস্য। মেট্রোপলিটন বন্দর থানা পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) দেলোয়ার হোসেন এবং কনস্টেবল আব্দুস সালাম বুধবার রাতে স্থানীয় সোনালী পোল এলাকায় বাসিন্দা প্রতাপ ঘোষকে আটক করতে গেলে তাদের দুজনের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করাসহ আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসলেও এই ঘটনায় প্রতাপ ঘোষ বা তার কোনো স্বজনকে আটক করতে পারেনি। পরে রাতেই আহত দুই পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, চাঁদপুরা ইউনিয়নের সোনালী পোল এলাকায় বাসিন্দা প্রতাপ ঘোষ বরিশাল আদালতে চলমান একটি মামলার সাক্ষী। তিনি সেই মামলাটিতে সাক্ষ্য না দেওয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। বুধবার রাতে অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করে এএসআই দেলোয়ার হোসেন এবং কনস্টেবল আব্দুস সালাম সোনালী পোলের প্রতাপকে ধরতে বাসায় যান। সেখানে পুলিশের সাথে প্রতাপ এবং তার স্ত্রী-ছেলেদের বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে প্রতাপকে নিয়ে আসতে চাইলে স্ত্রীসহ দুই ছেলে মিলন ঘোষ ও বাসুদেব ঘোষ হামলা চালিয়েছে এবং দুই পুলিশ সদস্যকে মারধর করে আটকে রাখে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সদস্যকে মারধর করাসহ চাঁদাবাজ অভিহিত করে আটকে রাখার ঘটনায় গোটা এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করলে স্থানীয়রা সেখানে জড়ো হন। এবং কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ আসছে এই খবর পেয়েই প্রতাপসহ স্ত্রী-সন্তানেরা বাসা থেকে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন।
আসামি ধরতে গিয়ে দুই পুলিশ সদস্য হামলার শিকার হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বন্দর থানা পুলিশের ওসি মো. ইসমাইল হোসেন। তিনি বরিশালটাইমসকে জানান, আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এএসআই এবং কনস্টেবল আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে পরবর্তীতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই বাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ায় প্রতাপসহ স্ত্রী-সন্তানদের আটক করা সম্ভব হয়নি।
এই ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতির পাশাপাশি ওয়ারেন্টভুক্ত প্রতাপসহ তার স্ত্রী এবং দুই ছেলেকে গ্রেপ্তারে জোর তৎপরতা চলছে, জানান ওসি।’
বরিশালে আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন সহকারি উপ-পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ দুই পুলিশ সদস্য। মেট্রোপলিটন বন্দর থানা পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) দেলোয়ার হোসেন এবং কনস্টেবল আব্দুস সালাম বুধবার রাতে স্থানীয় সোনালী পোল এলাকায় বাসিন্দা প্রতাপ ঘোষকে আটক করতে গেলে তাদের দুজনের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করাসহ আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসলেও এই ঘটনায় প্রতাপ ঘোষ বা তার কোনো স্বজনকে আটক করতে পারেনি। পরে রাতেই আহত দুই পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, চাঁদপুরা ইউনিয়নের সোনালী পোল এলাকায় বাসিন্দা প্রতাপ ঘোষ বরিশাল আদালতে চলমান একটি মামলার সাক্ষী। তিনি সেই মামলাটিতে সাক্ষ্য না দেওয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। বুধবার রাতে অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করে এএসআই দেলোয়ার হোসেন এবং কনস্টেবল আব্দুস সালাম সোনালী পোলের প্রতাপকে ধরতে বাসায় যান। সেখানে পুলিশের সাথে প্রতাপ এবং তার স্ত্রী-ছেলেদের বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে প্রতাপকে নিয়ে আসতে চাইলে স্ত্রীসহ দুই ছেলে মিলন ঘোষ ও বাসুদেব ঘোষ হামলা চালিয়েছে এবং দুই পুলিশ সদস্যকে মারধর করে আটকে রাখে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সদস্যকে মারধর করাসহ চাঁদাবাজ অভিহিত করে আটকে রাখার ঘটনায় গোটা এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করলে স্থানীয়রা সেখানে জড়ো হন। এবং কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ আসছে এই খবর পেয়েই প্রতাপসহ স্ত্রী-সন্তানেরা বাসা থেকে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন।
আসামি ধরতে গিয়ে দুই পুলিশ সদস্য হামলার শিকার হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বন্দর থানা পুলিশের ওসি মো. ইসমাইল হোসেন। তিনি বরিশালটাইমসকে জানান, আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এএসআই এবং কনস্টেবল আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে পরবর্তীতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই বাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ায় প্রতাপসহ স্ত্রী-সন্তানদের আটক করা সম্ভব হয়নি।
এই ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতির পাশাপাশি ওয়ারেন্টভুক্ত প্রতাপসহ তার স্ত্রী এবং দুই ছেলেকে গ্রেপ্তারে জোর তৎপরতা চলছে, জানান ওসি।’

১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:৩৭
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রার্থী হলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক, বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহকারী এটর্নি জেনারেল। তিনি উপজেলা জামায়াতে ইসলামের আমির ইসহাক মাওলানার ছেলে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের ১২৫টি আসনের প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
জানা গেছে, মু. মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিলবিলাস এলাকার বাসিন্দা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন শাহিন। তিনি ছাত্রজীবনে বাংলাদেশ ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে আইন পেশায় যুক্ত হলেও তিনি জামায়াতে ইসলামের মূলধারার রাজনীতিতে আর সক্রিয় হননি। বর্তমানে তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।
দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় শাহিন বলেন, বাউফলের মানুষের উন্নয়নই আমার প্রধান অঙ্গীকার। স্বাস্থ্যসেবায় আধুনিক সরঞ্জাম নিশ্চিত করা, পর্যাপ্ত ডাক্তার-নার্স নিয়োগ, শিক্ষার মানোন্নয়ন, কারিগরি শিক্ষার বিস্তার এবং কৃষক-মৎস্যজীবীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
তিনি আরও বলেন, প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে মেধাবী ও পরিশ্রমী মানুষদের সঙ্গে নিয়ে একটি উন্নত, নিরাপদ ও বাসযোগ্য বাউফল গড়ে তুলতে কাজ করব।
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রার্থী হলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক, বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহকারী এটর্নি জেনারেল। তিনি উপজেলা জামায়াতে ইসলামের আমির ইসহাক মাওলানার ছেলে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের ১২৫টি আসনের প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
জানা গেছে, মু. মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিলবিলাস এলাকার বাসিন্দা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন শাহিন। তিনি ছাত্রজীবনে বাংলাদেশ ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে আইন পেশায় যুক্ত হলেও তিনি জামায়াতে ইসলামের মূলধারার রাজনীতিতে আর সক্রিয় হননি। বর্তমানে তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।
দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় শাহিন বলেন, বাউফলের মানুষের উন্নয়নই আমার প্রধান অঙ্গীকার। স্বাস্থ্যসেবায় আধুনিক সরঞ্জাম নিশ্চিত করা, পর্যাপ্ত ডাক্তার-নার্স নিয়োগ, শিক্ষার মানোন্নয়ন, কারিগরি শিক্ষার বিস্তার এবং কৃষক-মৎস্যজীবীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
তিনি আরও বলেন, প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে মেধাবী ও পরিশ্রমী মানুষদের সঙ্গে নিয়ে একটি উন্নত, নিরাপদ ও বাসযোগ্য বাউফল গড়ে তুলতে কাজ করব।

১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:২৯
গ্রেপ্তারী পরোয়ানা তামিল করতে গিয়ে আসামিদের হামলায় বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানার দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
এমনকি তাদের চাঁদাবাজ অভিহিত করে আটকে রাখার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন বন্দর থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউনিয়নের সোনালী পোল এলাকায়। আহতরা হলেন-থানার এএসআই দেলোয়ার হোসেন ও কনস্টেবল আব্দুস সালাম। তাদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত এএসআই দেলোয়ার হোসেন বলেন, একটি মামলার সাক্ষী ছিলো ওই এলাকার বাসিন্দা প্রতাপ ঘোষ। আদালতে গিয়ে সাক্ষ্য না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আদালতে হাজির করতে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা তামিল করার উদ্দেশ্যে প্রতাপ ঘোষের বাড়িতে যান। তখন প্রতাপ ঘোষ, তার স্ত্রী এবং দুই ছেলে মিলন ঘোষ ও বাসুদেব ঘোষ তাদের সাথে তর্কে লিপ্ত হয়।
একপর্যায়ে তাদের উপর হামলা করে আটকে রাখার চেষ্টা করে। তখন আরো পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। বন্দর থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, মারধর করাসহ চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে পুলিশ সদস্যদের আটকে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে দুইজনকে উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতির পাশাপাশি হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গ্রেপ্তারী পরোয়ানা তামিল করতে গিয়ে আসামিদের হামলায় বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানার দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
এমনকি তাদের চাঁদাবাজ অভিহিত করে আটকে রাখার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন বন্দর থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউনিয়নের সোনালী পোল এলাকায়। আহতরা হলেন-থানার এএসআই দেলোয়ার হোসেন ও কনস্টেবল আব্দুস সালাম। তাদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত এএসআই দেলোয়ার হোসেন বলেন, একটি মামলার সাক্ষী ছিলো ওই এলাকার বাসিন্দা প্রতাপ ঘোষ। আদালতে গিয়ে সাক্ষ্য না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আদালতে হাজির করতে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা তামিল করার উদ্দেশ্যে প্রতাপ ঘোষের বাড়িতে যান। তখন প্রতাপ ঘোষ, তার স্ত্রী এবং দুই ছেলে মিলন ঘোষ ও বাসুদেব ঘোষ তাদের সাথে তর্কে লিপ্ত হয়।
একপর্যায়ে তাদের উপর হামলা করে আটকে রাখার চেষ্টা করে। তখন আরো পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। বন্দর থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, মারধর করাসহ চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে পুলিশ সদস্যদের আটকে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে দুইজনকে উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতির পাশাপাশি হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.