
১৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:৫৮
যৌথ বাহিনীর অভিযানে যশোরের অভয়নগর উপজেলার আলোচিত বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান জনি গ্রেফতার হয়েছেন। একইসঙ্গে তার সহযোগী চলিশিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য তুহিনকে আটক করেছে করা হয়েছে ।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ভোরে খুলনায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে নির্যাতন ও হত্যার হুমকি দিয়ে চার কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
আটক আসাদুজ্জামান জনি, নওয়াপাড়া বাজার গরুহাটা এলাকার কামরুজ্জামান মজুমদারের ছেলে। অপরদিকে সাবেক ইউপি সদস্য তুহিন অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের কোটা গ্রামের মাহমুদ শেখের ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে জনি পলাতক ছিলেন। গত বছরের জুলাই মাসে নওয়াপাড়ার এক ব্যবসায়ীর স্ত্রী আসমা খাতুন অভিযোগ করেন যে, তার স্বামীকে অপহরণ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয়। চাঁদা না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এরপর তাকে বালুতে বুক পর্যন্ত পুঁতে রেখে কয়েক দফায় ৪ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। এই ঘটনায় আসাদুজ্জামান জনিসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। পরে চলতি বছরের ৩ আগস্ট আসাদুজ্জামান জনিসহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়।
অভয়নগর থানার ওসি আব্দুল আলিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনীর একটি দল আজ ভোরে খুলনায় অভিযান চালিয়ে জনিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আরও কিছু মাদক ও চাঁদাবাজির অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন , ৪ কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে জনির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। সেই মামলার ভিত্তিতেই যৌথ বাহিনীর অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, চার কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে থানায় মামলা হওয়ার পর আসাদুজ্জামান জনি পালিয়ে থাকলেও তার স্বজনরা তাকে নিরপরাধ দাবি করেছেন।
গত ১২ আগস্ট যশোর প্রেসক্লাবে ওই সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন জনির বোন মানি জারমিন ইলোরা। তিনি লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, একটি কুচক্রী মহল রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করছে। ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজ কবীর টিপু একজন চিহ্নিত প্রতারক। তিনি জনি ও তার পরিবারের সুনাম নষ্ট করার জন্য তিনি মিথ্যা নাটক সাজিয়েছেন।
জানা গেছে, নওয়াপাড়ার ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজ কবীর টিপুকে অস্ত্রের মুখে বালুতে পুঁতে রেখে ৪ কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ এনে টিপুর স্ত্রী আসমা খাতুন বাদী হয়ে গত ৩ আগস্ট অভয়নগর থানায় একটি মামলা করেন।
আসাদুজ্জামান জনি নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০২৪ সালের ২১ নভেম্বর আসাদুজ্জামান তার সাংগঠনিক পদ স্থগিত করা হয়।’
যৌথ বাহিনীর অভিযানে যশোরের অভয়নগর উপজেলার আলোচিত বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান জনি গ্রেফতার হয়েছেন। একইসঙ্গে তার সহযোগী চলিশিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য তুহিনকে আটক করেছে করা হয়েছে ।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ভোরে খুলনায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে নির্যাতন ও হত্যার হুমকি দিয়ে চার কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
আটক আসাদুজ্জামান জনি, নওয়াপাড়া বাজার গরুহাটা এলাকার কামরুজ্জামান মজুমদারের ছেলে। অপরদিকে সাবেক ইউপি সদস্য তুহিন অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের কোটা গ্রামের মাহমুদ শেখের ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে জনি পলাতক ছিলেন। গত বছরের জুলাই মাসে নওয়াপাড়ার এক ব্যবসায়ীর স্ত্রী আসমা খাতুন অভিযোগ করেন যে, তার স্বামীকে অপহরণ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয়। চাঁদা না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এরপর তাকে বালুতে বুক পর্যন্ত পুঁতে রেখে কয়েক দফায় ৪ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। এই ঘটনায় আসাদুজ্জামান জনিসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। পরে চলতি বছরের ৩ আগস্ট আসাদুজ্জামান জনিসহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়।
অভয়নগর থানার ওসি আব্দুল আলিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনীর একটি দল আজ ভোরে খুলনায় অভিযান চালিয়ে জনিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আরও কিছু মাদক ও চাঁদাবাজির অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন , ৪ কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে জনির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। সেই মামলার ভিত্তিতেই যৌথ বাহিনীর অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, চার কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে থানায় মামলা হওয়ার পর আসাদুজ্জামান জনি পালিয়ে থাকলেও তার স্বজনরা তাকে নিরপরাধ দাবি করেছেন।
গত ১২ আগস্ট যশোর প্রেসক্লাবে ওই সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন জনির বোন মানি জারমিন ইলোরা। তিনি লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, একটি কুচক্রী মহল রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করছে। ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজ কবীর টিপু একজন চিহ্নিত প্রতারক। তিনি জনি ও তার পরিবারের সুনাম নষ্ট করার জন্য তিনি মিথ্যা নাটক সাজিয়েছেন।
জানা গেছে, নওয়াপাড়ার ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজ কবীর টিপুকে অস্ত্রের মুখে বালুতে পুঁতে রেখে ৪ কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ এনে টিপুর স্ত্রী আসমা খাতুন বাদী হয়ে গত ৩ আগস্ট অভয়নগর থানায় একটি মামলা করেন।
আসাদুজ্জামান জনি নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০২৪ সালের ২১ নভেম্বর আসাদুজ্জামান তার সাংগঠনিক পদ স্থগিত করা হয়।’

১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৬
দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করেছিল ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৪ জন শিক্ষার্থী। ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে মাত্র ৩ লাখ ৫ হাজার ৪৯৯ জন। আর আবেদন করেও ভর্তির জন্য পছন্দের স্কুল পায়নি ৭ লাখ ৫০ হাজার ৫৫৫ জন।
অন্যদিকে, বিদ্যালয়গুলোতে থাকা ভর্তিযোগ্য ১১ লাখ ৯৩ হাজার ২৮১টি আসনের মধ্যে শূন্যই থেকে যাচ্ছে ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৭৮২টি। ভর্তি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেক স্কুলে কোনো আবেদনই জমা পড়েনি। স্বল্পসংখ্যক স্কুলে ভর্তিতে আগ্রহ বেশি শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের। ফলে আসন শূন্য থাকলেও সেসব স্কুলের নাম পছন্দের তালিকায় নেই। ফলে সেসব স্কুলে আসন শূন্যই থেকে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ডিজিটাল লটারির কার্যক্রম শুরু হয়। সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিক্ষার্থী বাছাই করা হয়। লটারির টেকনিক্যাল বা কারিগরি কাজ চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। এরপর দুপুর ২টার কিছুক্ষণ পর আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, প্রথম প্রকাশিত তালিকায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৪৯৯ জন। এরমধ্যে সরকারি স্কুলে প্রথম তালিকায় স্থান পেয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৫২১ জন। আর বেসরকারি স্কুলে প্রথম তালিকায় নির্বাচিত হয়েছে বেসরকারি স্কুলে শূন্য আসন ছিল ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি। এর বিপরীতে আবেদন করে তিন লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন। তবে লটারিতে স্কুলে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৮ জন। ফলে বেসরকারি স্কুলে আসন শূন্য থেকে যাবে ৮ লাখ ৭৪ হাজার ২৭৩টি আসন।
ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ বছর ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করেছিল ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৪ জন শিক্ষার্থী। ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৪৯৯ জন। আবেদন করেও পছন্দের স্কুল পায়নি ৭ লাখ ৫০ হাজার ৫৫৫ জন।
এদিকে, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলিয়ে মোট শূন্য আসন ছিল ১১ লাখ ৯৩ হাজার ২৮১টি। সেখানে ফাঁকাই থেকে যাচ্ছে ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৭৮২টি আসন। সরকারি স্কুলে শূন্য আসন ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৩০টি। বিপরীতে আবেদন করে ৭ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৪ জন। নির্বাচিত হয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৫২১ জন। ফলে সরকারি স্কুলে আসন শূন্য থেকে যাবে ১৩ হাজার ৫০৯টি।
অন্যদিকে বেসরকারি স্কুলে শূন্য আসন ছিল ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি। এর বিপরীতে আবেদন করে তিন লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন। তবে লটারিতে স্কুলে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৮ জন। ফলে বেসরকারি স্কুলে আসন শূন্য থেকে যাবে ৮ লাখ ৭৪ হাজার ২৭৩টি আসন।
আসন শূন্য থাকলেও পৌনে ৯ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়নি। তারা কোনো স্কুল পায়নি। আসন ফাঁকা থাকলেও শিক্ষার্থীরা কেন স্কুল পায়নি— এমন প্রশ্ন অনেকের।
মাউশির কর্মকর্তারা জানান, আবেদনের সময় শিক্ষার্থীদের একটি আবেদনে পাঁচটি স্কুল পছন্দ দেওয়ার সুযোগ ছিল। অধিকাংশ শিক্ষার্থী একটি বা দুটি করে পছন্দ দিয়েছে। কারণ তারা ওই দুটি স্কুলে ভর্তি হতে চায়। যদি সেখানে না হয়, তাহলে যে স্কুলে বর্তমানে আছে, সেখানেই থেকে যাবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটা ঘটেছে বলে মনে করেন ভর্তি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মাউশির মাধ্যমিক উইংয়ের পরিচালক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল জাগো নিউজকে বলেন, অল্প কিছু স্কুলে সবার ঝোঁক। সরকারির ক্ষেত্রে অনেকগুলো স্কুলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। আর বেসরকারির ক্ষেত্রে একেবারে সীমিত কিছু বিদ্যালয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে— ঢাকার ভিকারুননিসা বা মতিঝিল আইডিয়ালে একটি শ্রেণিতে শূন্য আসন ৫৫টি। সেখানে আবেদন পড়ছে ২০ হাজার এবং অধিকাংশই পছন্দের তালিকায় শুধু ওই একটি স্কুলই দিয়ে রাখছে। ফলে সেখানে ৫৫ জনের সুযোগ মিলছে। বাকি ১৯ হাজার ৪৫ জন আর কোনো স্কুলই পাচ্ছে না। এজন্য স্কুল না পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি।
তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, এসব শিক্ষার্থীরা কোনো না কোনো স্কুলে ভর্তি আছে। এজন্য তারা পছন্দের একটি স্কুল দিয়ে আবেদন করছে। ফলে এখানে ভর্তির সুযোগ না পেলে সে যে একেবারে স্কুলই পাবে না, বিষয়টি তেমন নয়। এছাড়া আসনশূন্য থাকা সাপেক্ষে দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করা হবে। সেখানেও নতুন অনেকে সুযোগ পাবে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী প্রধান রাশেদা কে চৌধূরী। দীর্ঘদিন তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ে কাজ করছেন। রাশেদা কে চৌধূরী জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষায় পদে পদে বৈষম্য। লটারিতে ভর্তির কারণে সেটা কিছুটা হ্রাস হয়েছে। দেখবেন— আগে নামি স্কুলে আর্থিকভাবে অসচ্ছল বাবা-মা সন্তানকে ভর্তির সাহসই পেতো না। এখন লটারিতে চান্স পেলে সাহস করে সন্তানকে বড় বড় স্কুলেও দিচ্ছে।
‘আবার যেসব শিশুরা প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে, তাদের পরীক্ষা নেওয়া হতো। তারা কী পরীক্ষা দেবে? তাদের ভর্তির জন্য কী মেধা মূল্যায়ন করা হবে? এ কথিত পরীক্ষার নামে তুলনামূলক পড়ালেখায় পিছিয়ে থাকাদের বাদ দিয়ে শুধু মেধাবীদের ভর্তি নেওয়া হতো। এতে একটি স্কুলে শুধুই ভালো শিক্ষার্থী পড়তো, আরেকটিতে শুধুই পিছিয়ে পড়ারা থাকতো। সেদিকে সরকার থেকে শুরু করে সবার নজর কম থাকতো। এ ধরনের কিছু সমস্যা লটারির কারণে দূর হয়েছে’ যোগ করেন রাশেদা কে চৌধূরী।
বর্তমান লটারি পদ্ধতিতেও কিছু ত্রুটি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আলোচনার মাধ্যমে লটারি পদ্ধতিকে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ করা যেতে পারে। এতে ভর্তিপরীক্ষার নামে বাণিজ্য বন্ধ হবে। নার্সারি থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত ভর্তিতে যে টাকার খেলা চলেছে এতদিন, সেটাও কমবে।’
দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করেছিল ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৪ জন শিক্ষার্থী। ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে মাত্র ৩ লাখ ৫ হাজার ৪৯৯ জন। আর আবেদন করেও ভর্তির জন্য পছন্দের স্কুল পায়নি ৭ লাখ ৫০ হাজার ৫৫৫ জন।
অন্যদিকে, বিদ্যালয়গুলোতে থাকা ভর্তিযোগ্য ১১ লাখ ৯৩ হাজার ২৮১টি আসনের মধ্যে শূন্যই থেকে যাচ্ছে ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৭৮২টি। ভর্তি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেক স্কুলে কোনো আবেদনই জমা পড়েনি। স্বল্পসংখ্যক স্কুলে ভর্তিতে আগ্রহ বেশি শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের। ফলে আসন শূন্য থাকলেও সেসব স্কুলের নাম পছন্দের তালিকায় নেই। ফলে সেসব স্কুলে আসন শূন্যই থেকে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ডিজিটাল লটারির কার্যক্রম শুরু হয়। সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিক্ষার্থী বাছাই করা হয়। লটারির টেকনিক্যাল বা কারিগরি কাজ চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। এরপর দুপুর ২টার কিছুক্ষণ পর আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, প্রথম প্রকাশিত তালিকায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৪৯৯ জন। এরমধ্যে সরকারি স্কুলে প্রথম তালিকায় স্থান পেয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৫২১ জন। আর বেসরকারি স্কুলে প্রথম তালিকায় নির্বাচিত হয়েছে বেসরকারি স্কুলে শূন্য আসন ছিল ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি। এর বিপরীতে আবেদন করে তিন লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন। তবে লটারিতে স্কুলে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৮ জন। ফলে বেসরকারি স্কুলে আসন শূন্য থেকে যাবে ৮ লাখ ৭৪ হাজার ২৭৩টি আসন।
ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ বছর ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করেছিল ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৪ জন শিক্ষার্থী। ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৪৯৯ জন। আবেদন করেও পছন্দের স্কুল পায়নি ৭ লাখ ৫০ হাজার ৫৫৫ জন।
এদিকে, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলিয়ে মোট শূন্য আসন ছিল ১১ লাখ ৯৩ হাজার ২৮১টি। সেখানে ফাঁকাই থেকে যাচ্ছে ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৭৮২টি আসন। সরকারি স্কুলে শূন্য আসন ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৩০টি। বিপরীতে আবেদন করে ৭ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৪ জন। নির্বাচিত হয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৫২১ জন। ফলে সরকারি স্কুলে আসন শূন্য থেকে যাবে ১৩ হাজার ৫০৯টি।
অন্যদিকে বেসরকারি স্কুলে শূন্য আসন ছিল ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি। এর বিপরীতে আবেদন করে তিন লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন। তবে লটারিতে স্কুলে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৮ জন। ফলে বেসরকারি স্কুলে আসন শূন্য থেকে যাবে ৮ লাখ ৭৪ হাজার ২৭৩টি আসন।
আসন শূন্য থাকলেও পৌনে ৯ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়নি। তারা কোনো স্কুল পায়নি। আসন ফাঁকা থাকলেও শিক্ষার্থীরা কেন স্কুল পায়নি— এমন প্রশ্ন অনেকের।
মাউশির কর্মকর্তারা জানান, আবেদনের সময় শিক্ষার্থীদের একটি আবেদনে পাঁচটি স্কুল পছন্দ দেওয়ার সুযোগ ছিল। অধিকাংশ শিক্ষার্থী একটি বা দুটি করে পছন্দ দিয়েছে। কারণ তারা ওই দুটি স্কুলে ভর্তি হতে চায়। যদি সেখানে না হয়, তাহলে যে স্কুলে বর্তমানে আছে, সেখানেই থেকে যাবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটা ঘটেছে বলে মনে করেন ভর্তি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মাউশির মাধ্যমিক উইংয়ের পরিচালক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল জাগো নিউজকে বলেন, অল্প কিছু স্কুলে সবার ঝোঁক। সরকারির ক্ষেত্রে অনেকগুলো স্কুলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। আর বেসরকারির ক্ষেত্রে একেবারে সীমিত কিছু বিদ্যালয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে— ঢাকার ভিকারুননিসা বা মতিঝিল আইডিয়ালে একটি শ্রেণিতে শূন্য আসন ৫৫টি। সেখানে আবেদন পড়ছে ২০ হাজার এবং অধিকাংশই পছন্দের তালিকায় শুধু ওই একটি স্কুলই দিয়ে রাখছে। ফলে সেখানে ৫৫ জনের সুযোগ মিলছে। বাকি ১৯ হাজার ৪৫ জন আর কোনো স্কুলই পাচ্ছে না। এজন্য স্কুল না পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি।
তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, এসব শিক্ষার্থীরা কোনো না কোনো স্কুলে ভর্তি আছে। এজন্য তারা পছন্দের একটি স্কুল দিয়ে আবেদন করছে। ফলে এখানে ভর্তির সুযোগ না পেলে সে যে একেবারে স্কুলই পাবে না, বিষয়টি তেমন নয়। এছাড়া আসনশূন্য থাকা সাপেক্ষে দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করা হবে। সেখানেও নতুন অনেকে সুযোগ পাবে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী প্রধান রাশেদা কে চৌধূরী। দীর্ঘদিন তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ে কাজ করছেন। রাশেদা কে চৌধূরী জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষায় পদে পদে বৈষম্য। লটারিতে ভর্তির কারণে সেটা কিছুটা হ্রাস হয়েছে। দেখবেন— আগে নামি স্কুলে আর্থিকভাবে অসচ্ছল বাবা-মা সন্তানকে ভর্তির সাহসই পেতো না। এখন লটারিতে চান্স পেলে সাহস করে সন্তানকে বড় বড় স্কুলেও দিচ্ছে।
‘আবার যেসব শিশুরা প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে, তাদের পরীক্ষা নেওয়া হতো। তারা কী পরীক্ষা দেবে? তাদের ভর্তির জন্য কী মেধা মূল্যায়ন করা হবে? এ কথিত পরীক্ষার নামে তুলনামূলক পড়ালেখায় পিছিয়ে থাকাদের বাদ দিয়ে শুধু মেধাবীদের ভর্তি নেওয়া হতো। এতে একটি স্কুলে শুধুই ভালো শিক্ষার্থী পড়তো, আরেকটিতে শুধুই পিছিয়ে পড়ারা থাকতো। সেদিকে সরকার থেকে শুরু করে সবার নজর কম থাকতো। এ ধরনের কিছু সমস্যা লটারির কারণে দূর হয়েছে’ যোগ করেন রাশেদা কে চৌধূরী।
বর্তমান লটারি পদ্ধতিতেও কিছু ত্রুটি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আলোচনার মাধ্যমে লটারি পদ্ধতিকে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ করা যেতে পারে। এতে ভর্তিপরীক্ষার নামে বাণিজ্য বন্ধ হবে। নার্সারি থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত ভর্তিতে যে টাকার খেলা চলেছে এতদিন, সেটাও কমবে।’

১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:১৬
রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত গর্তে (বোরিং) আটকে থাকা শিশু সাজিদকে উদ্ধারে টানা কাজ করে চলেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ইতিমধ্যে তিনটি এক্সকাভেটর দিয়ে পাশে ৪০ ফুট গভীর একটি গর্ত করে প্রাথমিক কাজ শেষ করা হয়েছে। বর্তমানে মূল গর্ত পর্যন্ত পৌঁছতে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। তবে আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
জানা যায়, বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে মায়ের পেছন পেছন হাঁটতে হাঁটতে শিশু সাজিদ হঠাৎ পড়ে পরিত্যক্ত একটি টিউবওয়েলের ৪০ ফুট গর্তে পড়ে যায়। এরপর থেকেই শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। প্রথমে স্থানীয়রা উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। তারা ব্যর্থ হলে খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে।
আজ শিশুটি যে গর্তের মধ্যে পড়ে যায় সেখানে সুড়ঙ্গ খোঁড়া শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। তবে এখনো দেখা মেলেনি সাজিদের।
শিশুটির মা রুনা খাতুন জানান, গতকাল দুপুর ১টার দিকে মেজো ছেলে সাজিদের হাত ধরে বাড়ির পাশের মাঠে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় তার কোলে ছোট একটি সন্তান ছিল।
হাঁটার সময় আচমকা সাজিদ মা বলে ডাকে। তখন তিনি পেছনে তাকিয়ে দেখেন- ছেলে নেই, গর্তের ভেতর থেকে মা, মা বলে ডাকছে। গর্তটির ওপরে বিছানো ছিল খড়। ওখানে যে গর্ত ছিল, সেটা তিনি বা ছেলে কেউই বুঝতে পারেনি। লোকজন ডাকাডাকি করতে করতেই ছেলেটি গর্তের তলায় চলে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে সেচের জন্য সেমিডিপ নলকূপ বসাতে গিয়ে এ গর্তটি খনন করেছিলেন জমির মালিক কছির উদ্দিন। কিন্তু পানি না পাওয়ায় কাজটি আর এগোয়নি। পরে খোলা অবস্থাতেই বিপজ্জনক এ গর্তটি রয়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতার প্রাথমিক ধাপ পেরিয়ে এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি সরানো ছাড়া শিশু সাজিদকে উদ্ধার সম্ভব হচ্ছিল না। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাকে উদ্ধারে এক্সকাভেটরের খোঁজ করা হচ্ছিল। কিন্তু পুরো তানোর উপজেলায় খোঁজ করেও কোনো উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এক্সকাভেটর পাওয়া যায়নি। অবশেষে গতকাল রাত ৮টার দিকে পাশের উপজেলা মোহনপুর থেকে ছোট্ট দুটি এক্সকাভেটর এনে মাটি খননকাজ শুরু করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় ৪০ ফুট গর্ত করা শেষ হয়। এরপর সেই গর্ত থেকে শিশুটি যে গর্তের মধ্যে পড়ে যায় সেদিকে সুড়ঙ্গ খোঁড়া শুরু করে। প্রায় দেড় ঘণ্টা থেকে সেই সুড়ঙ্গ হলেও শিশুটির সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ছেলের জন্য রাতভর অপেক্ষার পর রুনা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের প্রচণ্ড জ্বর ছিল। দাদার সঙ্গে হাটখোলায় যেতে চেয়েছিল। কিন্তু জ্বর থাকায় দাদা নিয়ে যায়নি। সকালে আমি ওষুধ এনে তাকে খাইয়ে দিয়েছি। কে জানত এমন সর্বনাশ অপেক্ষা করছে! আমার অসুস্থ ছেলেটা এখন ৪০ ফুট মাটির নিচে… এই তীব্র শীতে।’ এতটুকু বলেই কাঁপতে কাঁপতে জ্ঞান হারান তিনি। জ্ঞান ফিরে আসতেই তাকাচ্ছিলেন গর্তটির দিকে।
ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী স্টেশনের সহকারী পরিচালক দিদারুল ইসলাম জানান, উদ্ধার কাজ চলমান। গর্ত কাটা শেষে সুড়ঙ্গ করা হচ্ছে।
রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত গর্তে (বোরিং) আটকে থাকা শিশু সাজিদকে উদ্ধারে টানা কাজ করে চলেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ইতিমধ্যে তিনটি এক্সকাভেটর দিয়ে পাশে ৪০ ফুট গভীর একটি গর্ত করে প্রাথমিক কাজ শেষ করা হয়েছে। বর্তমানে মূল গর্ত পর্যন্ত পৌঁছতে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। তবে আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
জানা যায়, বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে মায়ের পেছন পেছন হাঁটতে হাঁটতে শিশু সাজিদ হঠাৎ পড়ে পরিত্যক্ত একটি টিউবওয়েলের ৪০ ফুট গর্তে পড়ে যায়। এরপর থেকেই শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। প্রথমে স্থানীয়রা উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। তারা ব্যর্থ হলে খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে।
আজ শিশুটি যে গর্তের মধ্যে পড়ে যায় সেখানে সুড়ঙ্গ খোঁড়া শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। তবে এখনো দেখা মেলেনি সাজিদের।
শিশুটির মা রুনা খাতুন জানান, গতকাল দুপুর ১টার দিকে মেজো ছেলে সাজিদের হাত ধরে বাড়ির পাশের মাঠে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় তার কোলে ছোট একটি সন্তান ছিল।
হাঁটার সময় আচমকা সাজিদ মা বলে ডাকে। তখন তিনি পেছনে তাকিয়ে দেখেন- ছেলে নেই, গর্তের ভেতর থেকে মা, মা বলে ডাকছে। গর্তটির ওপরে বিছানো ছিল খড়। ওখানে যে গর্ত ছিল, সেটা তিনি বা ছেলে কেউই বুঝতে পারেনি। লোকজন ডাকাডাকি করতে করতেই ছেলেটি গর্তের তলায় চলে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে সেচের জন্য সেমিডিপ নলকূপ বসাতে গিয়ে এ গর্তটি খনন করেছিলেন জমির মালিক কছির উদ্দিন। কিন্তু পানি না পাওয়ায় কাজটি আর এগোয়নি। পরে খোলা অবস্থাতেই বিপজ্জনক এ গর্তটি রয়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতার প্রাথমিক ধাপ পেরিয়ে এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি সরানো ছাড়া শিশু সাজিদকে উদ্ধার সম্ভব হচ্ছিল না। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাকে উদ্ধারে এক্সকাভেটরের খোঁজ করা হচ্ছিল। কিন্তু পুরো তানোর উপজেলায় খোঁজ করেও কোনো উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এক্সকাভেটর পাওয়া যায়নি। অবশেষে গতকাল রাত ৮টার দিকে পাশের উপজেলা মোহনপুর থেকে ছোট্ট দুটি এক্সকাভেটর এনে মাটি খননকাজ শুরু করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় ৪০ ফুট গর্ত করা শেষ হয়। এরপর সেই গর্ত থেকে শিশুটি যে গর্তের মধ্যে পড়ে যায় সেদিকে সুড়ঙ্গ খোঁড়া শুরু করে। প্রায় দেড় ঘণ্টা থেকে সেই সুড়ঙ্গ হলেও শিশুটির সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ছেলের জন্য রাতভর অপেক্ষার পর রুনা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের প্রচণ্ড জ্বর ছিল। দাদার সঙ্গে হাটখোলায় যেতে চেয়েছিল। কিন্তু জ্বর থাকায় দাদা নিয়ে যায়নি। সকালে আমি ওষুধ এনে তাকে খাইয়ে দিয়েছি। কে জানত এমন সর্বনাশ অপেক্ষা করছে! আমার অসুস্থ ছেলেটা এখন ৪০ ফুট মাটির নিচে… এই তীব্র শীতে।’ এতটুকু বলেই কাঁপতে কাঁপতে জ্ঞান হারান তিনি। জ্ঞান ফিরে আসতেই তাকাচ্ছিলেন গর্তটির দিকে।
ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী স্টেশনের সহকারী পরিচালক দিদারুল ইসলাম জানান, উদ্ধার কাজ চলমান। গর্ত কাটা শেষে সুড়ঙ্গ করা হচ্ছে।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:২০
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়ে হত্যার ঘটনায় মূল আসামি আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঝালকাঠি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জোড়াখুনের ঘটনায় জড়িত গৃহকর্মী আয়েশাকে ঝালকাঠি থেকে গ্রেপ্তার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) কথিত গৃহকর্মী আয়েশা, মা লায়লা ফিরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) হত্যা করে পালিয়ে যান।
জোড়া হত্যার ঘটনায় সোমবার রাতে গৃহকর্মী আয়েশাকে একমাত্র আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত লায়লা আফরোজের স্বামী স্কুলশিক্ষক আ জ ম আজিজুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সোমবার সকাল ৭টার দিকে তিনি উত্তরায় স্কুলে চলে যান। সেখানে থাকা অবস্থায় স্ত্রীর মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তিনি বাসায় ফিরে স্ত্রী ও মেয়ের রক্তে ভেজা লাশ দেখেন। ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, আয়েশা সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে কাজ করার জন্য বাসায় আসেন এবং সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে নাফিসার স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিস নিয়ে যান।
সুরতহাল প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, লায়লা আফরোজের শরীরে প্রায় ৩০টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মেয়ে নাফিসার শরীরে ৪টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে লায়লা ও তার মেয়ের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে তাদের গ্রামের বাড়ি নাটোর পৌরসভার দক্ষিণ বড়গাছায় নেওয়া হয়। জোহরের নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের মরদেহ দাফন করা হয়।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়ে হত্যার ঘটনায় মূল আসামি আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঝালকাঠি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জোড়াখুনের ঘটনায় জড়িত গৃহকর্মী আয়েশাকে ঝালকাঠি থেকে গ্রেপ্তার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) কথিত গৃহকর্মী আয়েশা, মা লায়লা ফিরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) হত্যা করে পালিয়ে যান।
জোড়া হত্যার ঘটনায় সোমবার রাতে গৃহকর্মী আয়েশাকে একমাত্র আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত লায়লা আফরোজের স্বামী স্কুলশিক্ষক আ জ ম আজিজুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সোমবার সকাল ৭টার দিকে তিনি উত্তরায় স্কুলে চলে যান। সেখানে থাকা অবস্থায় স্ত্রীর মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তিনি বাসায় ফিরে স্ত্রী ও মেয়ের রক্তে ভেজা লাশ দেখেন। ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, আয়েশা সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে কাজ করার জন্য বাসায় আসেন এবং সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে নাফিসার স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিস নিয়ে যান।
সুরতহাল প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, লায়লা আফরোজের শরীরে প্রায় ৩০টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মেয়ে নাফিসার শরীরে ৪টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে লায়লা ও তার মেয়ের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে তাদের গ্রামের বাড়ি নাটোর পৌরসভার দক্ষিণ বড়গাছায় নেওয়া হয়। জোহরের নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের মরদেহ দাফন করা হয়।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.